সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি হলের কক্ষ দখল নিয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের ৮ জন আহত হয়েছেন। রোববার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুস সামাদ আজাদ হলে এ ঘটনা ঘটে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. সাদ উদ্দিন মাহফুজ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের একাধিক বলয় রয়েছে। হলের একটি কক্ষে নিজ বলয়ের শিক্ষার্থীদের ওঠানো নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল। এ সময় নিজেদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে কয়েকজন আহত হয়েছেন। পরে পুলিশ, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা এবং ছাত্রলীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের উদ্যোগে পরিস্থিতি শান্ত হয়েছে। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আব্দুস সামাদ আজাদ হলের ৫০৭ নম্বর কক্ষে ফিশারিজ বিভাগের জ্যেষ্ঠ শিক্ষার্থীরা ছিলেন। তাদের স্নাতকোত্তর পরীক্ষা শেষ হওয়ায় দুটি আসন কয়েক দিন ধরে খালি ছিল। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরমান হোসেন শনিবার রাতে ওই আসনে নিজের চারজন অনুসারীকে ওঠান। তবে এতে ভেটেরিনারি অনুষদের রিয়াজুল ইসলাম নিজ বলয়ের শিক্ষার্থীদের ওঠাতে চাইলে দুই পক্ষের মধ্যে কথা–কাটাকাটি হয়। এ নিয়ে রোববার বিকেলে দুই পক্ষের মধ্যে ফের উত্তেজনা দেখা দিলে হলের প্রাধ্যক্ষ কক্ষটি তালা মেরে দুই পক্ষকে সমাধানের জন্য ডাকেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, বিকেল সাড়ে চারটার দিকে হল প্রাধ্যক্ষের কক্ষে বিষয়টি নিয়ে আলোচনাকালে আবার দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা থেকে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে প্রাধ্যক্ষের কক্ষ থেকে বের হয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ এবং পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের ৮ জন আহত হন। তাঁদের উদ্ধার করে কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে রিয়াজুল ইসলামের চোখের পাশে ঢিল লাগায় তাঁকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত হলে সন্ধ্যা সাতটার দিকে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আশিকুর রহমান বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে হলের একটি কক্ষ নিয়ে মতবিরোধ দেখা দিয়েছিল। খবর পেয়ে জ্যেষ্ঠ শিক্ষার্থী হিসেবে তাঁরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুস সামাদ আজাদ হলের প্রাধ্যক্ষ মীর মো. ইকবাল হোসেন বলেন, ছাত্রলীগের নিজেদের মধ্যে হালকা ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। বিষয়টি অত্যন্ত ছোট। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরসহ ছাত্রলীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের নিয়ে বিষয়টি সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।