সিলেটের শাহপরান এলাকায় যুবদল কর্মী বিলাল আহমদ মুন্সী (৩৫) হত্যার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার পাঁচ জনের একজন হলেন-পরিবহন শ্রমিক নেতা ও সিলেট জেলা হিউম্যান হলার চালক-শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রুনু মিয়া।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিকালে রুনু মিয়াকে নরসিংদী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাতে নিহতের ভাই মোস্তফা আহমদ বাদী হয়ে শাহপরাণ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

গত সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাতে সিলেট নগরীর শাহপরাণ থানার বাহুবল এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে বিলাল আহমদ মুন্সী (৩৫) নামে এক যুবদলকর্মী নিহত হন।

নিহত বিলাল সিলেট নগরীর ৩৪নং ওয়ার্ডের খাদিম বহর আবাসিক এলাকার জহুরুল ইসলামের ছেলে। তিনি পেশায় একজন রংমিস্ত্রি।

স্থানীয়রা জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিলালের সঙ্গে স্থানীয় যুবদলের কয়েকজন নেতা-কর্মীর বিরোধ ছিল। এ নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে উভয় পক্ষে উত্তেজনা চলছিল। সোমবার রাতে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় প্রতিপক্ষের লোকজন বিলালকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। সংঘর্ষের পর বিলালকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ব্যাপারে শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসাইন বলেন, ‘নিহত বিলাল আহমদ মুন্সীর ভাই মোস্তফা আহমদ বাদী হয়ে মামলা করেছেন। হত্যা মামলার মূল অভিযুক্তসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’