সিলেট নগরের সুরমা পয়েন্টে ‘নাগরি চত্বর’ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে জেলা পরিষদ। এ মাসে চত্বরের নির্মাণ কাজ শেষে হবে। এই জত্বর প্রায় ৭শত বছরের পূর্বে ইতিহাস-ঐতিহ্য তরুণ প্রজন্ম ও পর্যটকদের কাছে তুলে ধরতে সহায়তা করবে। এটি নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ২৩ লাখ টাকা।

বাংলা বর্ণমালার বিকল্প লিপি হিসেবে প্রায় ৭শত বছর পূর্বে প্রচলন শুরু হয়েছিল নাগরি লিপির। বিলুপ্ত হওয়া এ লিপির পুনরুদ্ধার করতে রীতিমতো গবেষণা করতে হয়েছে। বিভিন্ন সময় গবেষকরা নাগরি লিপি নিয়ে গবেষণা করলেও এর পূর্ণতা আসে প্রকাশক ও গবেষক মোস্তফা সেলিমের হাত ধরে। তিনি দীর্ঘদিন গবেষণা করে নাগরি লিপিতে বাউল-ফকিরদের লেখা পাণ্ডুলিপি উদ্ধার করে নতুন করে মুদ্রণ ও প্রকাশ করেন।

সিলেট জেলা পরিষদের উদ্যোগে নির্মিতব্য নাগরি চত্বরের নকশা করেছেন শুভজিৎ চৌধুরী। নগরের সুরমা পয়েন্ট এলাকায় নির্মানাধীন নাগরি চত্বরের উচ্চতা ১৭ফুট এবং এর ব্যাস ১২ ফুট। এতে মার্বেল পাথর ও টেরাকোটা ব্যবহার করা হয়েছে।

ঢাকা উৎস প্রকাশনের সত্ত্বাধিকারী ও নাগরি লিপি গবেষক মোস্তফা সেলিম বলেন, ২০০৭ সাল থেকে আমরা নাগরিলিপি পুনরুজ্জীবিত করতে উদ্যোগ নিয়েছিলাম। বিলুপ্ত হওয়া নাগরিলিপিতে ২৫টি পুঁথি মুদ্রণ করেছিলাম। এরপর সংশ্লিষ্টদের সাথে দেখা করে এ ঐতিহ্যকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বাঁচিয়ে রাখার দাবি জানিয়েছিলাম। এখন এই নাগরি চত্বর নির্মাণ হচ্ছে জেনে পুলকিত হয়েছি। এতে থেকে তরুণ প্রজন্ম ও পর্যটকরা আমাদের ঐতিহ্যবাহী নাগরি লিপি জানার সুযোগ পাবে।

সিলেট জেলা পরিষদের উপসহকারি প্রকৌশলী হিাসিব আহমদ বলেন, নাগরি চত্বর নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ২৩ লাখ টাকা। জুলাই মাসের মধ্যে এটি নির্মাণ শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে।