সিলেট সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে করোনার সংক্রমণের হারের উপর ভিত্তি করে যে রেড, ইয়েলো ও গ্রিন জোন ভাগ করা হয়েছে, তা সঠিক নয়। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্যে রয়েছে ত্রুটি। এজন্য তাদের জোনভিত্তিক তালিকা গ্রহণ করেনি করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ বিষয়ক সিলেট জেলা কমিটি। এজন্য পুলিশের সহায়তায় নতুন করে জোন ভাগ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিষয়টি সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আসলাম উদ্দিন নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, বুধবার সকাল ১১টায় সিলেট সার্কিট হাউজে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ বিষয়ক সিলেট জেলা কমিটি বৈঠকে বসে। জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠকে সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. প্রেমানন্দ মন্ডলসহ প্রশাসন ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রদান করা জোনভিত্তিক তালিকা পর্যালোচনা করা হয়। এ পর্যালোচনায় তাদের তালিকায় ত্রুটি ধরা পড়ে।

যেমনটি বলছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আসলাম উদ্দিন, ‘সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে যে তালিকা দেওয়া হয়েছে, তাতে ত্রুটি লক্ষ্য করা গেছে। কারণ, তাদের তালিকায় আক্রান্ত রোগীদের সঠিক ঠিকানা নেই। ঠিকানায় গোলমাল আছে। এখন সঠিক ঠিকানা না থাকলে তো জোনিংও সঠিক হবে না। এজন্য নতুন করে রেড, ইয়েলো ও গ্রিন জোন ভাগ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘পুলিশের কাছে রোগীদের বিস্তারিত তথ্য আছে। তারা নতুন জোন ভাগ করার বিষয়ে সিভিল সার্জন কার্যালয়কে সহায়তা করবে। সিভিল সার্জন নতুন জোন করার পর সেটি কেন্দ্রীয় কারিগরি কমিটিতে যাবে। সেখান থেকে মতামতসহ ফেরত আসবে জোনভিত্তিক তালিকা। এরপরই সিলেটে জোনভিত্তিক এলাকা বাস্তবায়ন এবং লকডাউনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’ এক্ষেত্রে ২৪ ঘন্টা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক।

এ বিষয়ে কথা বলতে সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. প্রেমানন্দ মন্ডলকে ফোন দেওয়া হলে তার নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়।

তথ্যসূত্র- সিলেটভিউ২৪।

বিয়ানীবাজারে ইউএনও অফিসের কর্মচারীসহ নতুন ৫জন করোনায় আক্রান্ত