সিলেট জেলায় নতুন করে আরও ৬১জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। শুক্রবার (১৯ জুন) সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এরমধ্যে তাদের রিপোর্ট পজিটিভ আসে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায়। তিনি বলেন, শুক্রবার কলেজের ল্যাবে ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এরমধ্যে ৬১ জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তবে এখানে একজন চিকিৎসকের ফলোআপ রিপোর্টও রয়েছে।

এদিকে আক্রান্তদের মধ্যে সিলেট সদর উপজেলায় ৪৭ জন, দক্ষিণ সুরমা উপজেলার দুজন, ফেঞ্চুগঞ্জের একজন, গোলাপগঞ্জের একজন, কানাইঘাটের একজন, কোম্পানীগঞ্জের একজন। এছাড়াও শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে ভর্তি ও নমুনা দেয়া হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার একজন, মাধবপুরের একজন, ছাতক উপজেলার পাঁচজনের করোনা শনাক্ত হয়।

গত বছরের ৩১ ডিসেম্বরে চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাস বাংলাদেশে ধরা পরে গত ৮ মার্চ। আর সিলেট বিভাগে সর্বপ্রথম করোনাভাইরাস ধরা পড়ে গত ৫ এপ্রিল। এরপর প্রতিদিন সিলেট বিভাগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তবে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেনও রোগীরা।

সর্বশেষ শুক্রবার সুনামগঞ্জের নতুন ৩৩ জন ও সিলেটের ৬১ জন নিয়ে সিলেট বিভাগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৯৮৪ জন। এর মধ্যে সিলেট জেলায় ১৭০০, সুনামগঞ্জে ৭৯০, হবিগঞ্জে ২৬৫ এবং মৌলভীবাজারে ২২৯ জন। এরমধ্যে হাসপাতালে ভর্তি আছেন সিলেট জেলায় ৬৪, সুনামগঞ্জে ৯৮, হবিগঞ্জে ৩৪ এবং মৌলভীবাজারে ২ জন।

অন্যদিকে সিলেট বিভাগে প্রতিদিনই বাড়ছে সুস্থ রোগী সংখ্যা। গত ২৭ এপ্রিল বিভাগে প্রথম সুনামগঞ্জে দুই রোগী করোনাভাইরাস জয় করে বাড়ি ফেরেন। এরপর প্রতিদিন বিভাগের বিভিন্ন জেলার রোগীরা করোনা জয় করে বাড়ি ফিরছেন। সবশেষ শুক্রবার (১৯ জুন) দুপুর ১২ টা পর্যন্ত সিলেট বিভাগের মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৩৮ জন। এর মধ্যে সিলেট জেলায় ২৩৩ জন, সুনামগঞ্জে ১৬১, হবিগঞ্জে ১৫৮ জন এবং মৌলভীবাজার জেলায় ৮৬ জন।

এদিকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত সিলেট বিভাগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫৬ জন। এরমধ্যে সিলেট জেলায় ৪৪ জন, সুনামগঞ্জে ৪ জন, হবিগঞ্জে ৪ জন এবং মৌলভীবাজারে চারজন।

অচেতন বাবাকে হাসাতালে নিয়ে যেতে বাধা দেন আপন চাচা