সিলেটে সড়কে দু’দিনের বিশেষ অভিযানে নেমেছে পুলিশ। সড়কে শৃঙ্খলা আনতে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি) কমিশনারের নির্দেশে লাইসেন্স ও কাগজপত্রবিহীন গাড়ির মালিক-চালকদের বিরুদ্ধে আজ সোমবার (২০ মে) সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়েছে এ অভিযান। অভিযানকালে এসব সব ঠিক না পেলে গাড়ির মালিক ও চালকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের এবং যানবাহন র‍‍্যাকিং করছে এসএমপি’র ট্রাফিক পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এসএমপি’র মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।

এসএমপি সূত্র জানায়, কমিশনার মো. জাকির হোসনে খান (পিপিএম- সেবা) ট্রাফিক বিভাগের প্রতি ১৬ মে জারিকৃত এক আদেশে বলেন- ২০ ও ২১ মে (সোম-মঙ্গলবার)

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ মহানগরজুড়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স, গাড়ির কাগজপত্র, গাড়ির নম্বর, ফিটনেস, রুট পারমিট ব্যতীত গাড়ি চালনা, অতিরিক্ত যাত্রীবহন ও অবৈধ পার্কিং ইত্যাদির বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করবে।

অভিযানকালে প্রয়োজনমাফিক প্রসিকিউশন দাখিল ও অবৈধ সিএনজিচালিত অটোরিকশার স্ট্যান্ড উচ্ছেদ এবং অবৈধ অটোরিকশা গাড়ি আটক করার নির্দেশ প্রদান করেন এসএমপি কমিশনার।

আজ বেলা ১১টার দিকে মহানগর ঘুরে দেখা গেছে- বন্দরবাজার, জিন্দাবাজার, আম্বরখানা, টিলাগড় ও জিতু মিয়ার পয়েন্টসহ দক্ষিণ সুরমার (মহানগরের আওতাধীন) বিভিন্ন পয়েন্টে সব ধরণের গাড়ি দাঁড় করিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চেক করছে ট্রাফিক পুলিশ। সব ঠিক থাকলে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে গাড়ি, আর তা না হলে গাড়ির মালিক ও চালকের বিরুদ্ধে নেওয়া হচ্ছে আইনি ব্যবস্থা। এছাড়া মোটরসাইকেলের হেলমেট ছাড়া চালকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা হচ্ছে মামলা।

বিশেষ এই অভিযানে চন্ডিপুল, শাহপরাণ এলাকার সুরমা পয়েন্ট, তেমুখীসহ মহানগরের প্রবেশমুখগুলোতে চেকপোস্ট বসিয়েছে ট্রাফিক পুলিশ।

এদিকে,সিলেট মহানগরের অলি-গলি বা মূল সড়কেও হর-হামেশাই চলছে দ্রুতগতির ব্যাটারি বা মোটরচালিত রিকশা। দিন দিন এসব রিকশার সংখ্যা বেড়েই চলেছে, বাড়ছে তাদের দাপটও। বেপরোয়া এসব রিকশার কারণে সৃষ্টি হচ্ছে বিশৃঙ্খলা, ঘটছে ছোট-বড় অনেক দুর্ঘটনা। এসব অবৈধ রিকশার চলাচল বন্ধেও অভিযান চালাচ্ছে এসএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ।

এ বিষয়ে এসএমপি’র উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান রবিবার বিকালে বলেন- ব্যাটারি বা মোটরচালিত রিকশার চলাচল রোধে আমরা কাজ করছি। আটকের পর রিকশার ব্যাটারি খুলে নেওয়া হচ্ছে। দ্রুত মহানগরকে এসব অবৈধ রিকশামুক্ত করা হবে।