সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্চ উপজেলাস্থ কুশিয়ারা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে জাতীয় গ্রিডে ১১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যোগ হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে এ বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা শুরু হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ফেঞ্চুগঞ্জের কুশিয়ারা নদীর তীরে অবস্থিত এ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি থেকে ১৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব। বর্তমানে ১১৫ মেগাওয়াট উৎপাদন করা হলেও ভবিষ্যতে আরো ৫৫ মেগাওয়াট যোগ হবে জাতীয় গ্রিডে।

কম্বাইন্ড সাইকেল প্রযুক্তির গ্যাসভিত্তিক এ বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশী মুদ্রায় যার মূল্যমান দাঁড়ায় প্রায় ১২শ’ কোটি টাকা।

জানা যায়, ইপিসি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স ইনফাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অবকাঠামোগত উন্নয়নের কাজ করছে।

কুশিয়ারা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের মালিক পক্ষে রয়েছেন সিলেট-৩ আসনের সাংসদ মাহমুদ-উস-সামাদ চৌধুরী, নাঈম সামাদ চৌধুরী, গোলাম মো. আলমগীর, জুলকার নাইন প্রমুখ।

সূত্র জানায়, ফেঞ্চুগঞ্জের মাইজগাঁও ইউনিয়নের মইনপুর এলাকায় কুশিয়ারা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড নামের বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এজন্য সেখানে ৯০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাশে ১৫ একর জমি ক্রয় করা হয়। সরকারের অনুমতির পর ২০১৩ সালের ২০ মার্চ বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও জালালাবাদ গ্যাসের সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষর হয়। ২০১৫ সালের ২০ মার্চ প্রযুক্তিগত সহায়তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জেনারেল ইলেকট্রিক কোম্পানির সঙ্গে আরেকটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়।