বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (সিকৃবি) শাখার সহ-সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম রিয়াদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক আরমান হোসেনকে কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

আজ সোমবার (১৩ মে) বাংলাদেশ ছাত্রলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. তানভীর হোসেন স্বাধীন স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে তাদের বহিষ্কারাদেশ জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক সংগঠনের শৃঙ্খলা ও মর্যাদা পরিপন্থী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে রিয়াজুল ইসলাম (সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা) এবং আরমান হোসেন (সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা) কে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হলো।

এর আগে রোববার বিকালে সিকৃবির আব্দুস সামাদ আজাদ হলের সিট সংক্রান্ত ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন এই দুই নেতা ও তাদের অনুসারীরা। এতে ১৭ জন হতাহত হন। এই ঘটনার রেশ ধরেই কেন্দ্রীয় কমিটি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে সিকৃবি শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কখনোই শৃংখলা পরিপন্থী কোনো কাজের সাথে জড়িত থাকে না এবং তা প্রশ্রয়ও দেয় না।‘

তিনি বলেন, ‘গতকালের হলের সিট সংক্রান্ত সাধারণ একটা ঘটনা আসলে নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে যাওয়ায় এমনটা হয়েছে। আমরা রাতে বিষয়টি নিয়ে সকল নেতাকর্মীরা বসেছিলাম। আমরা সমাধানের পথে এগিয়েও গিয়েছিলাম। তার মধ্যেই কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে এমন ঘোষণা এসেছে। যাই হোক আর কিছু বলবো না, কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্তের প্রতি আমি যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীল।‘

সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আরমান হোসেনের সাথে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি কল রিসিভ করে নি।

গত শুক্রবার (১০ মে) রাতে সিকৃবি ছাত্রলীগের পুর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটি ঘোষণার দুইদিন না পেরোতেই সংঘর্ষে জড়ালো ছাত্রলীগের দুটি গ্রুপ। এবং বহিষ্কার হলো দুই নেতা।

এ ব্যাপারে সিকৃবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আশিকুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক ইমাদুল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে আশিকুর রহমান কল রিসিভ করেন নি এবং ইমাদুল হোসেনের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।