রাজধানীসহ সারাদেশে করোনা টিকার চতুর্থ ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় সারাদেশে সিটি করপোরেশন, মেডিকেল কলেজ, জেলা ও উপজেলা হাসপাতালে একযোগে এ কার্যক্রম শুরু হয়।
এদিনে সকাল ৯ টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আহমেদুল কবির ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
চতুর্থ ডোজ ক্যাম্পেইনে শুধুমাত্র ফাইজারের টিকা দেওয়া হবে। সারা দেশের স্থায়ী টিকা কেন্দ্রগুলোতে এ টিকা দেওয়া হবে। করোনার সম্মুখসারির যোদ্ধা, ষাটোর্ধ্ব নানা জটিল রোগে আক্রান্ত এবং অন্তঃসত্ত্বা নারীরা এ টিকা পাবেন।
তৃতীয় ডোজ নেওয়ার চার মাস পর নেওয়া যাবে চতুর্থ ডোজ। ৬০ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তি যারা ইতোমধ্যে তৃতীয় ডোজ নিয়েছেন, তাদের এই কর্মসূচির আওতায় টিকা দেওয়া হবে।
ফ্রন্টলাইনারদের মধ্যে আছেন- বীর মুক্তিযোদ্ধা, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মী ও এর সহযোগী সংস্থা এবং অনুমোদিত বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা সংস্থা, সরকারি-বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার সব কর্মচারী, আইন প্রয়োগকারী ও সামরিক কর্মী, সাংবাদিক, ব্যাংক কর্মচারী, জাতীয় দলের খেলোয়াড় এবং ফ্রন্টলাইনে কাজ করা অন্যরা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) পরিচালক ডা. শামসুল হক জানান, দেশের প্রতিটি কেন্দ্রে অন্যান্য ডোজ টিকার সঙ্গে চতুর্থ ডোজ প্রয়োগ করা হচ্ছে।
করোনা প্রতিরোধে দেশে প্রথম করোনা টিকার প্রয়োগ শুরু হয় ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি। সেই বছরের এপ্রিল মাসে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া শুরু হয়। চলতি বছরের ১৯ জুলাই বুস্টার ডোজের প্রয়োগ শুরু হয়।
এখন পর্যন্ত ১৪ কোটির বেশি মানুষ করোনা টিকার প্রথম ডোজ, সাড়ে ১২ কোটি দ্বিতীয় ডোজ এবং বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ৬ কোটিরও বেশি মানুষ।