সারাদেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কারণে তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের পদত্যাগ এবং এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ আগস্ট বিয়ানীবাজারে সংঘটিত কিছু অনাকাঙ্খিত ঘটনায় উদ্বিগ্ন বিয়ানীবাজার রিপোর্টার্স ইউনিটি। আমরা চাই, বিয়ানীবাজারে সকল ক্ষেত্রে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকুক।

বিয়ানীবাজার উপজেলায় সরকারি স্থাপনা এবং থানায় অগ্নিকাণ্ড ও ভাংচুরের ঘটনা দুঃখজনক উল্লেখ করে নেতৃবৃন্দরা, আমাদের বিশ্বাস এ ধরনের কর্মকান্ড বিয়ানীবাজারে যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে। আসুন, আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকি। একইসাথে গত ৫ আগস্ট গুলিতে তিনজন যুবক নিহতের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেন নেতৃবৃন্দ।

সাংবাদিক নেতৃবৃন্দরা বলেন, সরকারি বিভিন্ন অফিস থেকে লুন্টিত বিভিন্ন মালামাল বিয়ানীবাজারের সম্মানার্থে আবার ফের দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। এক্ষেত্রে স্থানীয় রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গন এবং সুশিল সমাজের নেতৃবৃন্দকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তারা।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সিলেটে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় পুলিশের গুলিতে নিহত বিয়ানীবাজারের সন্তান দৈনিক নয়াদিগন্ত পত্রিকার সিলেট প্রতিনিধি ও দৈনিক জালালাবাদ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার আবু তাহের মোহাম্মদ তুরাবের আত্মার মাগফেরাত কামনা করার পাশাপাশি তার মৃত্যুর সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানান রিপোর্টার্স ইউনিটির নেতৃবৃন্দ।

এ সময় বিয়ানীবাজার রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি এহসান করিম খোকন ও সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম সাজু বলেন, রাজনীতির ঊর্ধ্বে বহুকাল থেকে সম্প্রীতি মেনে চলেন বিয়ানীবাজারবাসী। আমরা আশা করি এ ধারা অব্যহত রেখে বিয়ানীবাজারকে এগিয়ে নিয়ে যেতে দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে সবাই এক সাথে কাজ করবেন। এ ছাড়াও বিয়ানীবাজারের পরিবেশ শান্ত ও সুশৃঙ্খল রাখতে সকলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সচেষ্ট থাকবেন।