বিয়ানীবাজার থেকে পলাতক করোনা রোগী কপু মিয়ার সন্ধান পাওয়া গেছে। মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের  তত্বাবধায়নে উপজেলার মনসুরনগর ইউনিয়নের বানারাই গ্রামের নিজ বাড়িতে হোম আইসোলেশন সেন্টারে কপু মিয়া চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বশীলরা মঙ্গলবার বিকালে মুঠোফোনে বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

কপু মিয়া (২১) পেশায় একজন নির্মাণ শ্রমিক।  সে বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের নতুন নির্মানাধীন নতুন ১০ তলা ভবনে কাজ করতো এবং কলেজ রোড সংলগ্ন এলাকায় বসবাস করতো। কপু মিয়া মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার মনসুরনগর ইউনিয়নের বানারাই গ্রামের বাসিন্দা ওয়েস মিয়ার ছেলে।

গত রোববার রাতে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাব থেকে বিয়ানীবাজারের ৪জনের করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসে। পলাতক কপু মিয়া এর মধ্যে একজন রোগী। তার করোনা রিপোর্ট পজেটিভ আসার পর সোমবার দুপুরে তার বাসস্থান লকডাউন করতে কপু মিয়ার কোন খোঁজ পাননি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বশীলরা। সারাদিন খোঁজাখুঁজি করেও তাকে না পাওয়ায় সন্ধ্যার দিকে তার নাম-ঠিকানাসহ বিয়ানীবাজার থানাকে বিষয়টি অবগত করা হয়। পরে রাজনগর থানা ও স্বাস্থ্য বিভাগের মাধ্যমে কপু মিয়াকে খোঁজে বের করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এদিকে, এর গত বিয়ানীবাজার উপজেলার বৈরাগীবাজার থেকে একটি সরকারি ব্যাংকের দুইজন কর্মকর্তা পালিয়েছেন। পালিয়ে যাওয়া দুই ব্যাংক কর্মকর্তার মধ্যে একজন নিজ এলাকার নারায়নগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং অন্যজন শশুরবাড়ির জকিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে রয়েছেন বলে জানা গেছে।

‘এবি টিভি’র সর্বশেষ প্রতিবেদন-