বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের কথিত অভিযোগে সিলেটের বিয়ানীবাজার সীমান্তের সুতারকান্দি এলাকায় গত শনিবার থেকে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এ অবস্থায় দুই দেশের শেওলা স্থলবন্দর সুতারকান্দি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। এছাড়া শেওলা স্থল বন্দরের দায়িত্বশীলদের অসহযোগিতার কারণে গত দুই মাস থেকে ভারত থেকে পাথর আমদানি রয়েছে। তবে কবে থেকে ফের আমদানি-রপ্তানি শুরু হবে সে বিষয়টিও অজানা ব্যবসায়ী ও শেওলা স্থল বন্দরের দায়িত্বশীলদের কাছে।
শেওলা স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষ ও স্থল বন্দর ব্যবহারকারি ব্যবসায়ীরা জানান, গত শনিবার থেকে শেওলা স্থল বন্দর দিয়ে আমদানি রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। ভারতের করিমগঞ্জ জেলার সুতারকান্দি স্থল বন্দরের প্রায় ৩ কিলোমিটার ভেতরে সনাতন এক্য মঞ্চের বিক্ষোভ সভা থেকে শনিবার বাংলাদেশ চলো মিছিল নিয়ে পুলিশ ও বিএসএফ এর ব্যরিকেট ভাঙ্গার চেষ্টা করে সনাতন ঐক্য মঞ্চের কর্মীরা। তারা সুতারকান্দি স্থল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করলে বিএসএফ, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনী বিক্ষুব্ধ জনতাকে রুখে দেয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, বিক্ষুব্ধ জনতাকে ঠেকাতে বিএসএফ লাঠিচার্জ করছে।
শেওলা স্থল বন্দর ব্যবহারকারি ব্যবসায়ী কমর উদ্দিন বলেন, শনিবার থেকে দুই দেশের ট্রাক আসা যাওয়া বন্ধ রয়েছে। তবে সোমবার বাংলাদেশ থেকে প্রাণ আরএফএলের দুইটি ট্রাক পণ্য নিয়ে গেলেও ভারত থেকে কোন ট্রাক আসেনি। মঙ্গলবার পোর্টের কার্যক্রম একেবারের বন্ধ রয়েছে।
ব্যবসায়ী সুমন আহমদ বলেন, ভারত থেকে পাথর আমদানি বন্ধ রয়েছে দুই মাস থেকে। পাহাড় থেকে তোলা পাথরের সাথে মাটি চলে আসে। মাটি শুল্ক বাদ দিয়ে শুধুর পাথরের শুল্ক দেয়ার ব্যবসায়ীদের দাবি আমলে নেননি দায়িত্বশীলরা। এর ফলে দুই মাস থেকে এলসি খোলা থাকা সত্ত্বেও দুই মাস থেকে পাথর আমদানি বন্ধ রয়েছে। ফলে বেকার হয়ে পড়েছেন শত শত শ্রমিক।
এদিকে, শেওলা স্থল বন্দরের দায়িত্বশীল রাজস্ব কর্মকর্তার পদ বদলীজনিত কারণে শূন্য রয়েছে। ফলে স্থলবন্দরে থাকা অন্যান্য দায়িত্বশীলরা এ বিষয়ে কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি।