যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বিয়ানীবাজার পৌরসভার শ্রীধরা গ্রামের সন্তান এবং দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত সম্প্রদায়ের ক্ষমতায়নের দাতব্য উদ্দেশ্যে গঠিত চ্যারিটি সংগঠন আপলিফট ইউ ইউএসএ ইনক’র অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এমদাদুল হক সোহেল। বুধবার বাদ যোহর ভার্জিনিয়ার সুগারল্যান্ড রোডের এডাম সেন্টারে মরহুমের জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জানাজা শেষে মরহুম এমদাদুল হক সোহেলের সম্মানে মরদেহ স্থানীয় কমিউনিটি ও পুলিশ প্রটোকলে ভার্জিনিয়ার স্যানিটারি কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া হয় এবং দাফন কার্য সম্পাদন হয়।
জানাজায় পরিবারের পক্ষ থেকে সংক্ষিপ্ত কথা রাখেন মরহুমের ভাই যুক্তরাষ্ট্রস্থ বিয়ানীবাজার সমিতির কোষাধক্ষ আব্দুল হান্নান দুখু ও বিয়ানীবাজার উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাবেক আহবায়ক আব্দুল কুদ্দুস টিটু।
জানাজায় উপস্থিত ছিলেন বিয়ানীবাজার উপজেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক এবং এবি মিডিয়া গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আব্দুল খালিক লালু, মরহুমের মামা মজির উদ্দিন, শামসুল হক ও আব্দুল মালিক, এবি মিডিয়া গ্রুপের ফাউন্ডার ও সিইও রিজু মোহাম্মদ, সাংবাদিক আজিম উদ্দিনসহ কমিউনিটি বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষজন।
এমদাদুল হক সোহেল সম্প্রতি মরণব্যাধি ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে ভার্জিনিয়ার স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত ৭ নভেম্বর সকাল ১০টা ৩০ মিনিটের সময় যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় তার নিজ বাসায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি….রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৩৮ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্যা আত্মীয়-স্বজন এবং গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে ভার্জিনিয়ায় বসবাসের সুবাধে সেখানকার স্থানীয় কমিউনিটির নানা সামাজিক ও সেবামূলক কর্মকাণ্ডে সর্বদা নিজেকে নিয়োজিত রাখতেন মানবদরদী এমদাদুল হক সোহেল। শুধু তাই, নিজের মাতৃভূমি বাংলাদেশের অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কল্যাণে কাজ করার মতো মনমানসিকতা ছিল তার৷ করোনা দুর্যোগ থেকে শুরু বন্যার মতো ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগকালেও তিনি এবং তার চ্যারিটি দাতব্য প্রতিষ্ঠান আপলিফট ইউ ইউএসএ’র মাধ্যমে সহযোগিতার হাত প্রসারিত করেছেন দূর্গত মানুষদের প্রতি।
সর্বদায় মানুষের সেবা ও কল্যাণে নিয়োজিত সদাহাস্যজ্বল এই মানুষটির অকাল মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না পুরো কমিউনিটির বাসিন্দারা। এমদাদুল হক সোহেলের মতো মানুষের অল্প জীবনের এই বিদায়ে কমিউনিটিজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
এদিকে, জানাজা ও দাফন কার্য সম্পাদন শেষে এমদাদুল হক সোহেলের পরিবার ও স্বজনরা তারই রেখে যাওয়া সামাজিক ও মানবিক কর্মকাণ্ডগুলো অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।