সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে রিয়াল মাদ্রিদ-ম্যানচেস্টার সিটির ফাইনালের আগের ফাইনালে কেউ হারল না। ম্যাচ শেষ হয়েছে ১-১ গোলের সমতায়। এখন অপেক্ষা ইতিহাদ স্টেডিয়ামে, যেখানে নিশ্চিত হবে কে যাচ্ছে ফাইনালে।
মঙ্গলবার রিয়ালের মাঠে শুরুতেই স্বাগতিকদের চেপে ধরে ম্যানচেস্টার সিটি। একের পর এক আক্রমণে তটস্থ রাখে রিয়ালের রক্ষণ। এভাবে একতরফা খেলল তারা প্রথম আধ ঘণ্টা।

ম্যাচের ২৯তম মিনিটে একজন খেলোয়াড়ের আঘাতজনিত কারণে খানিকটা বিরতি পড়ে খেলায়। রিয়াল বুঝি এর জন্যেই অপেক্ষা করছিল! এরপর দেখা গেল অন্য রিয়াল মাদ্রিদকে।
৩৪তম মিনিটে আক্রমণে যায় রিয়াল। তবে ডান দিক থেকে সতীর্থের বাড়ানো ক্রস বেনজেমা বক্সে নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টায় তার হাতে বল লাগে।
এর দুই মিনিট পরই অসাধারণ এক গোলে দলকে এগিয়ে নেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র। বাঁ থেকে এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গার পাস ধরে একটু আড়াআড়ি ছুটে প্রায় ২২ গজ দূর থেকে বুলেট গতির শটে ঠিকানা খুঁজে নেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। গোলের উদ্দেশ্যে এটাই ছিল তাদের প্রথম ও প্রথমার্ধে একমাত্র শট।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে প্রায় একচেটিয়া আধিপত্য করে রিয়াল। চাপ সামলে ৬৭তম মিনিটে একক নৈপুণ্যে গোলে সমতা টানেন ডে ব্রুইনে। দূর থেকে নিচু জোরাল শটে বল জালে পাঠান বেলজিয়ান মিডফিল্ডার।
৭৮তম মিনিটে আবার এগিয়ে যেতে পারতো রিয়াল। তবে টনি ক্রুসের দূরের পোস্টে বাড়ানো ক্রসে বেনজেমার হেড দারুণ নৈপুণ্যে ঝাঁপিয়ে ফেরান গোলরক্ষক এদেরসন।
নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে আবারও দূর থেকে চেষ্টা চালায় রিয়াল। অহেলিয়া চুয়ামেনির জোরাল শট দারুণ ক্ষিপ্রতায় রুখে কোনো বিপদ হতে দেননি ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক এদেরসন।
প্রথমার্ধে মাত্র লক্ষ্যে একটি শট নেওয়া রিয়াল দ্বিতীয়ার্ধের প্রায় পুরোটা সময়ই প্রতিপক্ষের ওপর চাপ ধরে রাখে। এই অর্ধে ১২টি শট নেয় তারা, যদিও এর মাত্র দুটিই ছিল লক্ষে। বিপরীতে দ্বিতীয় ভাগে চারটি শট নিয়েই গোল আদায় করে নেয় সিটি।
আগামী বুধবার ম্যানচেস্টার সিটির মাঠে নির্ধারিত হবে কে যাচ্ছে ফাইনালে!