কানাডার টরেন্টোতে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হলো ত্রিবার্ষিক নির্বাচন -২০২২। কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যন্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় শুধু মাত্র সভাপতি পদে অনুষ্ঠিত হয় এ নির্বাচন।
প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন মোহাম্মাদ আব্দুল মুমিত এবং মোহাম্মদ আব্দুল মানিক।
খুবই উৎসবমুখর পরিবেশে সকাল ১০ টা হতে বিকাল ৮ টা পর্যন্ত চলে ভোট গ্রহণ। এতো ব্যস্ততার মাঝে ও যেভাবে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা থেকে ভোটার পর্যন্ত সবার অংশ গ্রহণ টরেন্টোতে বসবাসরত অন্যান্য বাংলাদেশীদের কাছে ছিলো আশ্চর্যের। বিয়ানীবাজারবাসীর কমিউনিটির সরব উপস্থিতি অন্যান্য কমিউনিটির কাছে যেন – “কানাডার বুকে এক খন্ড বিয়ানীবাজার”।
নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আব্দুল বাসিত ফলাফল ঘোষণার পূর্বে মনে করিয়ে দেন -আমাদের বিয়ানীবাজারবাসীর ঐক্য -আন্তরিকতা এবং শৃংখলা পুরো কানাডার বুকেই একটি অন্যন্য নজির হিসাবে ঠিকে আছে। পরবর্তী প্রজন্মের দায়িত্ব হলো ঐক্যের এই পতাকাকে যেনো সুউচ্চে সমুন্নত রাখা।
সহকারী নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আপনাদের এই প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্যই আজ একটি উৎসবমুখর মিলনমেলা হয়ে উঠলো টরেন্টোর বাংলাদেশ সেন্টার।
সাঈদ চৌধুরী বলেন, আমাদের কারো সাথেই ব্যক্তিগত কোন ক্লেস নেই কিন্তু নির্বাচন পরিচালনা করতে গিয়ে কখনো কঠোর হতে হয়েছে । আমাদের ঐক্য আর আন্তরিকতার চিহ্ন অন্যদের কাছে দৃষ্টান্ত হয়ে উঠুক এই কামনা করি।
প্রার্থী আব্দুল মানিক বলেন, নির্বাচনে হার জিত থাকবেই। বিজয়ী প্রার্থীকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি আগামীতেও এক সাথে কাজ করে যাওয়ার অঙ্গীকার করেন।
বিজয়ী প্রার্থী মোহাম্মদ আব্দুল মুমিত নির্বাচন পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় বলেন, প্রবাসে অবাধ সুষ্ঠু এই নির্বাচন আমার নয়; বিয়ানীবাজারের বিজয় হয়েছে। প্রবাসীদের মাঝে বিয়ানীবাজার সমিতি একটি মাইলফলক হিসাবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। বিয়ানীবাজারবাসী আমাকে যে সম্মান আর দায়িত্ব দিয়েছেন আমি যেন সেই সম্মান এর মর্যাদা এবং দায়িত্ব পালন করতে পারি সেজন্য আগামী দিনগুলিতে ও সবার সহযোগিতা কামনা করি।