বিয়ানীবাজার থানা পুলিশের কার্যক্রম এখনো বন্ধ রয়েছে। গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে রবিবার দুপুর পর্যন্ত এই থানায় শুরু হয়নি পুলিশি কার্যক্রম। তবে শনিবার সকাল থেকে বিয়ানীবাজারে সেনা ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। মানুষের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দ্রুত কার্যক্রম পরিচালনা করছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা

রবিবার সকালে দেখা যায়, বিয়ানীবাজার থানার প্রধান ফটক বন্ধ। পাশের সরু গেটটিও বন্ধ করে রাখা। থানার বাইরে একাধিক ভূক্তভোগী পুলিশের অপেক্ষা করছেন। একই অবস্থা চারখাই পুলিশ ফাঁড়িরও। সেখানেও কোন পুলিশ সদস্য নেই।

থানা ও উপজেলা প্রশাসনে হামলার ঘটনায় বিয়ানীবাজারের মানুষ ক্ষুব্দ। সরকারি স্থাপনায় কারা হামলা করছে, তাদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানান স্থানীয়রা।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট মাঠে পর্যায়ে ডিউটিরত পুলিশ সদস্যদের কোনো দিকনির্দেশনা না দিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পালিয়ে যাওয়ায় পুলিশের চেইন অব কমান্ড ভেঙে পড়ে।

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ময়নুল ইসলাম পুলিশ সদস্যদের বৃহস্পতিবারের মধ্যে নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগদানের নির্দেশ দিলেও বিয়ানীবাজার থানা এখনো চালু হয়নি। সাধারণ পুলিশ সদস্যদের উত্তেজিত জনতার রোষানলের মুখে ফেলে যাওয়ায় বিক্ষুব্ধ পুলিশ সদস্যরা এখন তাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের স্বেচ্ছাচারিতার কথা প্রকাশ করছেন।