বিয়ানীবাজার ছাত্রলীগের তিনটি ইউনিটের কমিটি গঠন নিয়ে তোড়জোড় শুরু হয়েছে। কারা আসছেন নেতৃত্বে, কাদের হাতে উঠছে নেতৃত্বের বাটন কিংবা ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করা হবে কিনা- এসব আলোচনার মধ্যে ঘোরপাঁক খাচ্ছে অনেক প্রশ্নের। বিশেষ করে তিন মাস পূর্বে জেলা ছাত্রলীগের সিভি আহবানের পর থেকে আদর্শিক নেতৃত্বে নিয়ে তৈরী হয়েছে ধোয়াশা। এসব ধোয়াশার মধ্যে দুই যুগ পর ছাত্রলীগের কমিটি আসতে যাচ্ছে এ খবরেও উচ্ছসিত নেতাকর্মীরা।
জাতীয় সংসদসহ স্থানীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও নৌকার বিষয়ে আপোষহীন নেতৃত্ব প্রত্যাশা নেতাকর্মীদের চাওয়া কতটা পুরণ হবে সেই অপেক্ষায় বিয়ানীবাজারের ছাত্রলীগ। তবে উপজেলা, সরকারি কলেজ ও পৌরসভা মিলিয়ে তিনটি ইউনিটের নেতৃত্ব দিতে এরই মধ্যে সিভি জমা দিয়েছেন প্রায় দুই শতাধিক নেতাকর্মী। এসব নেতাকর্মীদের মধ্যে আলোচনা রয়েছে মাত্র গুটি কয়েক নাম। বিশেষ করে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের ‘গুড বুকে’ থাকা নাম নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন। সেই গুঞ্জনের রেস কমিটি ঘোষণার আগ পর্যন্ত চলমান থাকলেও নেতাকর্মীদের বিশ্বাস আদর্শিক ও ত্যাগী নেতাকর্মীদের কমিটিতে মূল্যায়ন করা হবে।

১৯৯১ সাল থেকে বিয়ানীবাজার উপজেলা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি। এই সময়ের পর আরো তিনবার উপজেলা ছাত্রলীগের্আহবায়ক গত দুই যুগ থেকে নেই ছাত্রলীগের কোন নেতৃত্ব। ফলে গ্রুপ উপগ্রুপে বেড়ে সাত ভাগে বিভক্ত বিয়ানীবাজার উপজেলা ছাত্রলীগ। সম্প্রতি বিয়ানীবাজার ছাত্রলীগে তিনটি ইউনিটের কমিটি গঠন নিয়ে তোড়জোড় শুরু হয়েছে। প্রায় তিন মাস পূর্বে জেলা ছাত্রলীগের সিভি আহবানের পর থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উৎসাহ থাকলেও সময়ের সাথে সাথে সেটি ভাটা পড়েছে নেতৃত্বের । বিশেষ করে নেতৃত্বে কারা আসছে এরকম গুঞ্জনের ডানা এমনভাবে ছড়িয়ে যাতে নানা প্রশ্নে জন্ম দিয়েছে।
২০০৩ সালে বিয়ানীবাজার উপজেলা, সরকারি কলেজ ও পৌরসভা ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি গঠন হয়েছিলো। পরে উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটিতে রদবদল হয়ে নেতৃত্বে পরিবর্তন আসলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি। ২০১০ সালে জামাল হোসেন, আবুল কাশেম পল্লব ও জাকির হোসেনের উপজেলা কমিটি বিলুপ্ত করে জেলা ছাত্রলীগ। সেই থেকে নতুন নেতৃত্বে অপেক্ষায় বিয়ানীবাজার ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
গত দুই যুগ থেকে নেতৃত্বহীন ছাত্রলীগের বিভক্তি বেড়েছে। গ্রুপ উপগ্রুপে বেড়ে সাত ভাগে বিভক্ত বিয়ানীবাজার উপজেলা ছাত্রলীগকে একটি জায়গা নিয়ে আসা চ্যালেঞ্জের। সেই কাজটি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নজমুল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ হাতে নিয়েছেন এ নিয়ে উচ্চ্বসিত নেতাকর্মীদের মধ্যে শংকাও দেখা দিয়েছে। সেই শংকার পেছনে কারণ ত্যাগী নেতাকর্মীরা মূল্যায়িত হবেন কি না।
গত দুই সপ্তাহ থেকে জেলা ছাত্রলীগের দায়িত্বশীল দুই নেতার সাথে বিভিন্ন গ্রুপের দায়িত্বশীলসহ আগ্রহী নেতাকর্মীরা যোগাযোগ বৃদ্ধি করেছেন। একই সাথে স্বল্প পরিসরে বৈঠকের পর বৈঠক করলেও উপজেলা, সরকারি কলেজ ও পৌরসভা ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে ধোয়াশা রয়েছে।
এদিকে জেলা ছাত্রলীগের ঘনিষ্ট সূত্র জানিয়েছে আজ কালকের মধ্যে ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা হতে পারে। উপজেলা ও সরকারি কলেজের পূর্ণাঙ্গ কমিটি আসার সম্ভাবনা রয়েছে। পৌরসভায় দেখা হতে পারে আহবায়ক কমিটি। কিংবা তিন ইউনিটের কমিটি পূর্ণাঙ্গ হকে পারে। এতে উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটির ৭১ থেকে ৯১ জনের হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।