আর মাত্র কয়েক ঘন্টার অপেক্ষা। বুধাবর সকাল থেকে টানা ৮ ঘন্টার ভোট যুদ্ধের পর বিয়ানীবাজার উপজেলা পরিষদের মসনদে কে বসছেন সেই মাহেন্দ্রক্ষণের দুরত্বও মাত্র ২৪ ঘন্টার। তবে বৈরী আবহাওয়ার কারণে ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি প্রার্থীসহ সমর্থকদের মনে শঙ্কার মেঘ দেখা দিচ্ছে।
চেয়ারম্যান পদে মূল প্রতিদ্বন্দ্বি রয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কাশেম পল্লবের হেলিকপ্টার, সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আতাউর রহমান খানের টেলিফোন, দেওয়ান মাকসুদুল ইসলাম আউয়ালের মোটর সাইকেল এবং ও গৌছ উদ্দিনের শালিক পাখি। তবে আলোচনায় রয়েছে চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল বারীর দোয়াত কলম, জাকির হোসেন সুমনের কাপপিরিছ, জামাল হোসেনের আনারস, জাকির হোসেনের কৈ মাছ ও শিক্ষক জহির উদ্দিনের ঘোড়া।
এবারের নির্বাচনে আঞ্চলিকতার প্রভাব না থাকলেও সাম্প্রদায়িকতার প্রভাব থাকার আশংকা করছেন অনেকেই। চেয়ারম্যান প্রার্থীদের কেউই কোন ইউনিয়নে এককভাবে প্রভাব ফেলতে না পারায় কে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হচ্ছে তা নিয়ে কিছুটা হলেও ধোয়াশা রয়েছে। তবে মূল চার প্রার্থী তিন জনের ভোট ১০ ইউনিয়ন ও পৌরসভায় রয়েছে। শুধু মাত্র গৌছ উদ্দিনের নির্দিষ্ট কয়েকটি ইউনিয়নের রয়েছে তার ভোট ব্যাংক।
একক প্রার্থী হিসাবে প্রায় সব ইউনিয়ন ও পৌরসভায় কোন প্রার্থী প্রভাব না থাকায় শেষ পর্যন্ত আলোচনায় শীর্ষে থাকা আতাউর রহমান খান কিংবা দেওয়ান মাকসুদুল ইসলাম আউয়াল এবং গৌছ উদ্দিন কিংবা আবুল কাশেম পল্লব বিজয়ী হতে পারেন।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন খানের বই, সায়দুল ইসলামের মাইক, সুহেল আহমদ রাশেদের চমশা এবং আশরাফুল ইসলাম রুনুর বাল্ব প্রতীক। অন্যান্য প্রার্থীরা আলোচনায় থাকলেও ১০ ইউনিয়ন ও পৌরসভার মিলিয়ে বিয়ানীবাজার উপজেলার বিশাল এলাকায় তাদের অবস্থান মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকা চার চেয়ে ব্যবধান অনেক।
মাহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে হাসিনা বেগমের হাঁস প্রতীকের সাথে জেসমিন নাহারের ফুটবল প্রতীকের। অপর দুই প্রার্থীর হাকডাক তেমন শোনা যাচ্ছে না।
নির্বাচনের উত্তাপ যতটা বিয়ানীবাজারে দেখা যাচ্ছে তার বেশি বৈরী আবহাওয়ার শংকা কিংবা কেন্দ্র ভিত্তিক নির্বাচনের পরিবেশ। ভোটারদের অনাগ্রহও জনপ্রিয়তার র্শীর্ষে থাকা প্রার্থীদের মধ্যে দু-একজনের কপাল পুড়তে পারে