বহুল আকাঙ্খিত বিয়ানীবাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন পেয়েছে। শনিবার সকাল ১১টায় জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সভা শেষে মধ্যরাতে কমিটির অনুমোদিত তালিকা প্রকাশ করা হয়।
ঘোষিত কমিটিতে কোন চমক না থাকলেও অনেক নিস্ক্রিয়দের নতুন কমিটিতে স্থান দেয়া হয়েছে। একই সাথে বিভিন্ন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীলরাও পেয়েছেন পদপদবী। ফলে সংগঠনের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে।
অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে সমালোচনা করেছেন। ‘উপজেলা কমিটিতে স্থান পাওয়া চেনা-অচেনা সকলকে অভিনন্দন’- এরকম বেশ কিছু স্ট্যাটাস নিজ নিজ ফেসবুক আইডিতে প্রকাশ করেন শাহজাহানুল ইসলাম লায়েক, শাব্বির আহমদ বকশীসহ কয়েকজন নেতাকর্মী।
নতুন কমিটিতে চারখাই, দুবাগ, শেওলা ও মাথিউরা ইউনিয়ন চেয়ারম্যানরা পদপদবী পেলে পদ পাননি সাবেক ছাত্রলীগ নেতা লাউতা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান গৌছ উদ্দিন। পদ পাওয়া চার ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা নৌকা প্রতীকে গত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হয়েছিলেন। দল তাদের সম্মানিত করলেও নৌকার বিরোধী হয়ে নির্বাচন করে নির্বাচিত চেয়ারম্যান গৌছ উদ্দিন বঞ্চিত হয়েছেন। একে ঢাল হিসাবে কেউ কেউ ব্যবহার করার চেষ্টা করলেও তাদের সে অজুহাত হালে পানি পাবে না। তার কারণ নৌকার বিরোধী নির্বাচন করে পরাজিত তিলপাড়া ইউনিয়নের ইসলাম উদ্দিন পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পদ পেয়েছেন। তাহলে ইউপি চেয়ারম্যান গৌছ উদ্দিন বঞ্চিত হলেন কেন? এ প্রশ্ন অনেক নেতাকর্মীর। যা তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ করেছেন।
বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের ছাত্র রাজনীতির অবস্থানের উপর উপজেলা সদরের রাজনীতির মূখ্য ভূমিকা পালন করে। অথচ এখানে বঞ্চিত হতে হয়েছে ডাক সাইটের অনেককেই। তাদের মধ্যে অন্যতম সাইফুল ইসলাম নিপু।
বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি ও জিএস নিপু পদ পাননি উপজেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে। একই সাথে সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন পদ বঞ্চিত হয়েছেন। পদ পাননি উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দেয়া বঙ্গবন্ধুর সহচর আকাদ্দস সিরাজুল ইসলামের পুত্র শিবলী জাফরী।
পদ বঞ্চিতদের তালিকায় রয়েছেন সাহাব উদ্দিন মৌলা, বিলাল উদ্দিন, জাহেদ আহমদ, লায়ন সুহেল আহমদ রাশেদ, আব্দুল হাসিব খোকন, রফিকুল হক চৌধুরী, হানিফ মোহাম্মদ ইফতেখার, সিদ্দিকুর রহমান তানু, হুমায়ুন কবির পারভেজ, এস আর শহীদসহ রাজনীতির মাঠে পরীক্ষিত এক ঝাঁক নেতাকর্মী। অভিমানে আগামী দিনগুলোতে হয়তোবা তাদেরকে মাঠের রাজনীতিতে সক্রিয় দেখা নাও যেতে পারে। যার প্রভাব পড়বে দলীয় কার্যক্রমে।