বিয়ানীবাজারের কুড়ারবাজার ইউনিয়নের আঙ্গুরা মোহাম্মদপুর এলাকায় পূর্ব বিরোধের জের ধরে দু’পক্ষের মধ্যে বাগবিতন্ডার এক পর্যায়ে হামলার ঘটনায় শহিদ আলম নামের এক যুবক গুরুত্বর আহত হয়েছেন। তার মাথা ও পায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সালিস বৈঠক চলাকলে উভয় পক্ষের উত্তেজনার একপর্যায়ে শহীদ আলমের বাড়ির আঙ্গীনায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।

শহিদ আলমের স্ত্রী শারমিন আক্তার ইতি জানান, তার স্বামীকে হত্যার উদ্দ্যেশে ধারালো দা দিয়ে মাথায় কুপ এবং পায়ের রগ কাটে পতিপক্ষের লোকজন। পরে মৃত ভেবে ফেলে রেখে চলে যায় তারা।

আহত শহিদ আলমের স্ত্রী আরো জানান, স্বামীকে রক্ষায় এগিয়ে আসলে তিনিও হামলার শিকার হন। এ সময় হামলাকারীরা স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায়। হামলার ঘটনায় বিয়ানীবাজার থানায় তিনি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

আহত শহিদ আলমকে উদ্ধার করে বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট প্রেরণ করেন। বর্তমানে তিনি সিলেটের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

শহিদ আলমের মা জানান, দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশীদের সাথে বিরোধ ছিল। তবে সোমবার রাতে সংঘবদ্ধভাবে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তার ছেলের উপর হামলা চালায় প্রতিবেশীরা।

সালিশ বৈঠক চালাকালে উপস্থিত স্থানীয় এক মুরব্বী জানান, সম্প্রতি মাটি ভরাট নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে নতুন করে ঝামেলার সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে মীমাংশার জন্য আসলে দু’পক্ষ উত্তেজিত হওয়ায় এ ঘটনার সৃষ্টি হয়। হামলার বিষয়টিও সালিশী সমাধানের চেষ্টা চলছে।

এ বিষয়ে জানতে সরেজমিনে অভিযুক্ত প্রতিবেশীর বাড়িতে গেলে পুরুষ লোক না থাকায় কেউ বক্তব্য দিতে রাজি হননি। বিয়ানীবাজার থানার ওসি আশরাফ উজ্জামান জানান, থানায় উভয়পক্ষ পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।