প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকার টিকা প্রদানের গুরুত্ব দিচ্ছে। সে লক্ষ্যে বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মাধ্যমে টিকা প্রদান কার্যক্রম চলছে খুব জোরেশোরে। তবে টিকা প্রদান কার্যক্রম ব্যাহত বা ছেদ পড়তে পারে প্রয়োজনীয় টিকা হাসপাতালে না আসলে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, টিকা প্রদানের জন্য উপজেলার প্রায় ২৪ হাজার মানুষ রেজিস্ট্রেশন করে অপেক্ষায় আছেন টিকা দেয়ার ম্যাসেজ পাওয়ার। কিন্তু তাদের নির্দিষ্ট মোবাইল নম্বরে টিকা প্রদানের জন্য কোন ম্যাসেজ না আসায় তাঁরা টিকা প্রাপ্তির নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বশীলরা জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রথম ডোজ টিকা প্রদানের আগ্রহীদের মোবাইলে ম্যাসেজ পাঠানো আপাতত বন্ধ রেখেছেন। হাসপাতালের দায়িত্বশীলদের কাছে সিনোফার্মের ভেরোসেল টিকা রয়েছে মাত্র ১২৮টি। এ অবস্থায় দ্বিতীয় জোড দিতে আসাদের জন্য এ টিকা রাখা রয়েছে। এছাড়া এ্যাস্ট্রাজেনেরকার কভিশিল্ড টিকার দ্বিতীয় ডোজ প্রদান করা হবে। এবং এ টিকার দ্বিতীয় ডোজের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মোবাইল নম্বরে ম্যাসেজ পাঠানো অব্যাহত রাখা হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোয়াজ্জেম আলী খান চৌধুরী বলেন, সিলেট থেকে টিকা প্রদানের বিষয়টি এখনো আমাদের জানানো হয়নি। শুক্রবার (আজ) সিলেটে সিনোফার্মের টিকা আসার কথা। কিন্তু সকাল পর্যন্ত সে টিকা না আসায় আমরা টিকা সংগ্র করতে পারছি না। তিনি বলেন, টিকা আসলে আবার প্রথম ডোজ টিকা প্রদানের কাজ আগের মতোই শুরু করা হবে। এ সময় রেজিস্ট্রেশনকৃতদের ম্যাসেজ না পেলে হাসপাতালে না আসার অনুরোধ করেন তিনি।

বিয়ানীবাজারে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি, বেড়েছে মৃত্যুহার