বিয়ানীবাজারসহ সারা দেশে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গত ২০ জানুয়ারি থেকে আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে এ কার্যক্রম। এরই মধ্যে মাঠকর্মীদের প্রশিক্ষকসহ প্রয়োজনী নির্দেশনা প্রদানের পর বিয়ানীবাজারের নতুন ভোটার নিবন্ধন শুরু হয়েছে। মাঠকর্মীরা বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে তাদের তথ্য সংগ্রহ করবেন।
ইতোমধ্যে মধ্যে দুই সপ্তাহ ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ চলবে জানিয়ে পরিপত্র জারি করেছে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়। পরিপত্রে বলা হয়েছে, ২০০৮ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে যাদের জন্ম কিংবা যারা আগের ভোটার তালিকা হালনাগাদের কার্যক্রম থেকে বাদ পড়েছেন, তাদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এসময় নতুন ও বাদ পড়াদের তথ্য সংগ্রহ ছাড়াও বিদ্যমান তালিকা থেকে মৃতদের নাম বাদ দেওয়ার জন্যও বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য নেওয়া হবে।

বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, বিশেষ দিবসের ছুটি ব্যতীত সাধারণ ও সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও নিবন্ধন এবং তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম চলমান থাকবে। ইতোমধ্যে মাঠ কর্মীদের সার্বিক প্রশিক্ষণ শেষে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা ও কাগজপত্র দেয়া হয়েছে।
তথ্য সংগ্রহের পর ভোটারদের বায়োমেট্রিক গ্রহণসহ নিবন্ধন প্রক্রিয়া পার্শ্ববর্তী নিবন্ধন কেন্দ্রে সম্পন্ন করা হবে। স্থানীয় স্কুল, কলেজ বা মাদ্রাসায় এই বায়োমেট্রিক সংগ্রহের কাজ করা হবে। এই প্রক্রিয়া চলবে ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত।
এদিকে, ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে ভোটার এলাকা স্থান্তান্তরের আবেদন নেওয়া হবে। একই সময়ে মৃতদের নাম বাদ দেওয়া এবং নতুন ভোটারের তথ্য সফটওয়্যারের মাধ্যমে সংরক্ষণ করা হবে।
এর আগে, গত ২ জানুয়ারি চলতি বছরের খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করে ইসি। এতে নতুন করে যুক্ত হয়েছে ১৮ লাখ ৩৩ হাজার ৩৫২ জনের নাম। সবশেষ গতবছর ২ মার্চ প্রকাশিত চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় ভোটার ছিলেন ১২ কোটি ১৮ লাখের বেশি।
২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি যারা ভোটার হওয়ার যোগ্য হয়েছেন, এ বছরের হালনাগাদে তারা তালিকায় যুক্ত হলেন। নতুন ভোটারদের নিয়ে দেশে মোট ভোটার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৩৬ লাখ ৮৩ হাজার ৫১২ জন।