পবিত্র ঈদুল ফিতর সামনে রেখে সাদা ব্রয়লার মুরগি, লাল ও সোনালী মুরগিসহ সব ধরনের মুরগির দাম বেড়েছে। সপ্তাহ ব্যবধানে বিয়ানীবাজার পৌরশহরে ব্রয়লার, লাল ও সোনালী মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা।
প্রতিকেজি সাদা ব্রয়লার মুরগি ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা, লাল মুরগি প্রতি পিস ৬৫০ থেকে ৬৬০ টাকা আর সোনালী মুরগি প্রতি পিস ৩৪০ থেকে ৩৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া কোয়েল পাখি আকারভেদে ৬০, ৪৫ ও ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। চলতি সপ্তাহে প্রতি হালি ব্রয়লার মুরগির ডিমে ৪ থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত দাম কমেছে।

বিক্রেতারা জানান, ফিডের দামবৃদ্ধির কারণে উৎপাদন কম। সে কারণে দাম বেড়েছে। তাছাড়া রোজা, শবে ক্বদর ও ঈদকে সামনে রেখে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে মুরগির দাম বাড়িয়ে নেয়।
পবিত্র রমজান মাসে চাহিদা কম থাকায় সপ্তাহ ব্যবধানে বিয়ানীবাজার পৌরশহরে সব ধরনের সবজির দাম স্থিতিশীল রয়েছে। পেঁয়াজ ও আলু আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া অন্যান্য শাক-সবজি কেজি প্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। তবে ধনিয়া পাতার দাম কিছুটা বেড়েছে। প্রতি কেজি ধনিয়া পাতা বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা দরে। প্রতি হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। জিঙ্গা ৮০ টাকা, বেগুন ৪০ টাকা, চিনিন্দা ৪০ টাকা, কেরেলা ৪০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, আদা ২২০ টাকা, টমেটো ৩০ টাকা কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে।
সবজির মতোই একইভাবে স্থিতিশীল রয়েছে সবধরণের মাছের দাম। বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে দেশীয় মাছের সরবরাহ বেশি থাকায় দাম বৃদ্ধি পায়নি। দেশি টেংরা মাছ ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা, দেশি ছোট চিংড়ি ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা, গলদা চিংড়ি ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৮০ থেকে ১৯০, বোয়াল মাছ ১০০০ থেকে ১১০০ টাকা, রুই মাছ ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা, গাসকার্প ৩৫০ থেকে ৩৮০ টাকা দামে প্রতি কেজি মাছ বক্রি হছে।
গত সপ্তাহের দামেই বিক্রি হচ্ছে পেয়াজ, রসুন, চাল, ডাল, ছোলা, আদা, ভোজ্য তেল, চিনি ও গুড়োদুধসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্য। তবে গত সপ্তাহে কয়েকটি পন্যের দাম হুট করে বেড়ে গেলেও চলতি সপ্তাহে নতুন করে কোন পন্যের দাম বাড়েনি, আগের দরেই বিক্রি হচ্ছে।
প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, এলসি পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, রসুন ১৯০ থেকে ১৯৫ টাকা, আলু ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, ডাল ১১০ থেকে ১১৫ টাকা, ৫ লিটার সয়াবিন তেল ৭৮০ থেকে ৭৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
রমজানের শুরুতেই প্রশাসন কর্তৃক বাজার মনিটরিং চালু থাকায় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি খুব একটা লক্ষ্য করা যায়নি। তবে রমজানে শেষ দিকে এসে দাম নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের জোরালো কোন পদক্ষেপ না থাকায় সময়ে সময়ে পন্যের দাম বেড়েছে বলে দাবি করছেন ভোক্তারা।