বিয়ানীবাজার উপজেলার মোল্লাপুর ইউনিয়ন বিএনপির প্রতিস্টাকালীন সভাপতি প্রবীন রাজনীতি, মোল্লাপুর ফ্রেন্ডস্ সোসাইটির উপদেষ্টা আতাউর রহমানের জানাযা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পৌর শহরের আল আমিন সুপার মার্কেটের রয়েল স্পাইসি রেস্টেুরেন্টের হলরুমে বিএনপির অংঙ্গ সংগঠন জাসাস’র এক অনুস্টানে বক্তব্য শেষে বসা অবস্তায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ধারণা করা হচ্ছে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।
তার মৃত্যুতে বিএনপি পরিবার ও এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মৃতুকালে তিনি স্ত্রী, ২ কন্যা ও ৩ পুত্র, নাতী-নতনী সহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন ও গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। রাজনীতিবিদ ও সংগঠক প্রয়াত আতাউর রহমান গ্যাস আদায় দাবি আন্দোলন সহ বিভিন্ন সামাজিক কাজে অগ্রণী ভুমিকা রেখেছেন। এছাড়া আমৃত্যু মোল্লাপুর মোল্লারগুষ্টি জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্য ও মোল্লাপুর ফ্রেন্ডস্ সোসাইটির উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন।
শুক্রবার বাদ জুম্মা বেলা ২টা ১০ মিনিটে নিদনপুর মোল্লাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে মরহুমের জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাযায় রাজনীতিবিদ, জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, শিক্ষক, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সহ হাজারো শোকাহত মানুষ অংশ নেন। জানাযার পূর্বে উপস্থিত রাজনীতিক নেতৃবৃন্দ, গ্রামবাসী ও পারিবারের পক্ষ থেকে মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে সকলের কাছে দোয়া চান।
জানাযা শেষে মরহুমের মরদেহ মোল্লাপুর মোল্লাগুষ্টি জামে মসজিদ সংলগ্ন পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়। প্রবীণ এ রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবক আতাউর রহমান এর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন সিলেট জেলা বিএনপি ও বিয়ানীবাজার উপজেলা বিএনপি, মোল্লাপুর ফ্রেন্ডস্ সোসাইটি, মোল্লাপুর সোসাইটি ইউএসএ, মোল্লাপুর ফ্রেন্ডস্ সোসাইটি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ইউকের নেতৃবৃন্দ। রাতে মরহুমের পরিবারের সাথে দেখা করেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এড. এমরান আহমদ চৌধুরী সহ জেলা ও উপজেলা বিএনপির দায়িত্বশীলরা। এ সময় তারা গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।