বিয়ানীবাজার উপজেলার লাউতা ইউনিয়নের কালাইউরা গ্রামের দেড় কিলোমিটার পাকা রাস্তার অভাবে চরম ভোগান্তিতে রয়েছে গ্রামের পূর্ব অঞ্চলের হাজারো মানুষ। বর্ষা মৌসুমে গ্রামে গাড়ি চলা তো দূরের কথা হেঁটে চলাচল করাই কঠিন হয়ে দাড়িয়েছে।

অবহেলিত এ জনপদের মানুষজনকে শুধু আশ্বাস দিয়ে আসছেন দায়িত্বশীলরা। বছরের পর বছর গ্রামবাসী কাঁদাযুক্ত রাস্তা দিয়ে চলাচল করলেও রাস্তাটি পাকার করার কোন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না। গ্রামবাসীর দাবি, দ্রুত সময়ের মধ্যে রাস্তাটি পাকা করে এলাকাবাসীর দুর্ভোগ লাঘব করতে দায়িত্বশীলরা এগিয়ে আসবেন।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, কাঁচা রাস্তার কাদা মাড়িয়ে গ্রামের মানুষজন জরুরী প্রয়োজনে চলাচল করছেন। একইভাবে বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদেরকেও এ কাদা পথ দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে গ্রামের একমাত্র রাস্তার করুণ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে গ্রামবাসীরা নিজ উদ্যোগে স্বেচ্ছাশ্রমে ইট-সুরকি ফেলে এবং মাটি ভরাট করে চলাচল উপযোগী করেন। কিন্তু অতিবৃষ্টির কারণে অল্প সময়ের মধ্যে রাস্তাটি কদাকার হয়ে পড়ে। এতে গ্রামের সাধারণ মানুষের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করে।

ব্যবসায়ী রিপন আহমদ জানান, ‘রাস্তাটি পাকা করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে এলেও তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। দুর্ভোগকে নিত্যসঙ্গী করে প্রতিদিনই আমাদের এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে।’

শিক্ষানবীশ আইনজীবী দেলওয়ার হোসেন বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ‌‌’গ্রামকে শহরে পরিণত করার যে ঘোষণা দিয়েছেন- তা আমলে নিচ্ছেন না স্থানীয় প্রশাসনের দায়িত্বশীল ও জনপ্রতিনিধিরা। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা দায়্ত্বিশীল ফলো করলে অনেক আগেই এ রাস্তা চলাচল উপযোগী হয়ে যেত।

স্থানীয় বাসিন্দা নান্নু মিয়া বলেন, এই রাস্তা দিয়ে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী এবং কয়েকশ ব্যবসায়ী ,চাকুরীজীবী মানুষ যাতায়াত করেন। গাড়ি চলা তো দূরের কথা, হেঁটে বাড়ি আসা যাওয়া করাই কঠিন হয়ে পড়েছে।

স্থা্নীয় ইউপি সদস্য মুমিনুল ইসলাম রুমন বলেন, এই সড়কটিতে মাটি ভরাটের কাজ চলমান। বড় কোন ‘প্রজেক্টের’ আওয়তায় নিয়ে এটি ইট ‘সলিং’ করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।

বিয়ানীবাজার উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা মোহাম্মদ হিরন বলেন, এই সড়কটি কাজের কোন পরিকল্পনা এখন ও নেই। তবে আগামী জুন মাসে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে ‘স্কীম’ পেলে বিবেচনা করা হবে।