ভাদ্রের তাল পাকা গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে বিদ্যুতের লোডশেডিং। ফলে ভয়াবহ ভোগান্তির মুখে বিয়ানীবাজারের জনজীবনে নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছে। শহরের চেয়ে পল্লী বিদ্যুতের অবস্থা আরও খারাপ। ঘণ্টায় ঘণ্টায় লোডশেডিং হচ্ছে। বিশেষ করে গ্রামের মানুষ লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ। গ্রামের বাসিন্দাদের ভাষ্য, অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে লোডশেডিং। ভ্যাপসা গরমে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন তাঁরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিদ্যুৎ না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন বিয়ানীবাজাজারের ২ লক্ষাধিক বাসিন্দা। প্রচণ্ড গরমে সবচেয়ে বেশি বেকায়দায় রয়েছেন শিশু ও বয়স্করা। কয়েক দিন থেকে প্রচণ্ড দাবদাহ প্রবাহিত হচ্ছে এ অঞ্চলে। এ অবস্থায় ঘনঘন বিদ্যুৎ যাওয়া-আসার কারণে গ্রাহকদের ক্ষোভ চরমে উঠেছে। অনেকেই অভিযোগ করছেন, লোডশেডিংয়ের কারণে ফ্রিজসহ অন্যান্য বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

এদিকে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ছে চিকিৎসা সেবা কেন্দ্রসহ মাকের্ট-শপিং মহলগুলোতে। এভাবে লোডশেডিং অব্যাহত থাকলে লোকসানের আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।

রাত ও দিনে ঘন্টাখানেক পরপরই বিদ্যুৎ আসা যাওয়া করে। এমন ভেলকিবাজির কারণে চরম দুর্ভোগে পড়ছেন সাধারণ মানুষ।
এ ব্যাপারে বিয়ানীবাজার পল্লি বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম বলেন চাহিদার তুলনায় সরবরাহ না থাকায় লোডশেডিং বেশি হচ্ছে ।

প্রচণ্ড গরমে বৈদ্যুতিক সংযোগে প্রভাব পড়ছে বলে লোডশোডিং হচ্ছে হয় বলে জানান এই দায়িত্বশীল।

বিয়ানীবাজরে চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম পাওয়ায় লোডশেডিং হচ্ছে। গরমের মৌসুম চলে গেলে আগামী অক্টোবর থেকে এই অবস্থা উত্তরণ হবে বলে আশাবাদী বিদুৎ বিভাগ।