নমুনা দিয়েছেন ৩ জুন। ভিন্ন জেলা থেকে ভ্রমন করে আসায় টিএমএস’র কর্মকর্তার নমুনা নেয়ার পর ফলাফল আসার আগ পর্যন্ত কেয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়। কিন্তু বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার নির্দেশনা মানেননি এনজিও কর্মকর্তা বিমল দাশ। কুড়ারবাজার ইউনিয়নে কিস্তি আদায়কালে জানতে তিনি করোনা পজেটিভ!
এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডাক্তার আবু ইসহাক আজাদ। তিনি বলেন, নমুনা নেয়া হয়েছে ভিন্ন জেলা থেকে গণপরিবহন ব্যবহার আসার কারণে। তিনিসহ তার অন্য সহকর্মীদের কারো শরীরে করোনার উপসর্গ ছিলনা। এরপরও তাদের স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনা মেনে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইন মেনে চলার নির্দেশনা দেয়া হয়। এমনকি ফলাফল আসার আগ পর্যন্ত বাইরে বের না হওয়ার আহবান জানানো হয়েছে কিন্তু তারা কেউ সেটি মানেননি।

কুড়ারবাজার ইউনিয়নের বাসিন্দা স্বপন আহমদ বলেন, গত কয়েকদিনে আমাদের ইউনিয়নের শতাধিক বাড়িতে তিনি গিয়েছেন। কিস্তি আদায়কালে তার করোনা পজেটিভ হওয়ার খবর পান। এখন পুরো ইউনিয়নে আতংক বিরাজ করছে।
একই ইউনিয়নের বাসিন্দা মাহমুদ হোসেন বলেন, সরকারের কিস্তি আদায় না করার নির্দেশনার সাথে উপজেলার,দায়িত্বশীল স্বাস্থ্য ককর্মকর্তার নির্দেশনা না মেনে অন্যায় করেছেন। আবার করেনা নিয়ে কিস্তি আদায় করে পুরো ইউনিয়নবাসীকে ঝুঁকির মধ্য ফেলেছেন।
বিয়ানীবাজার পৌর মেয়র আব্দুস শুকুর বলেন, পৌর এলাকায় অফিস ও বাসস্থান থাকায় তাদের ১৪ দিনের কেয়ারেন্টাইনে থাকার আহবান জানিয়েছি। কিন্তু তারা আমাদের কথা শোনেনি। কোয়ারেন্টাইনে না থেকে মাঠ পর্যায়ে কাজ করেছে। এর খেসারত কি পরিমান দিতে হবে সেটি আগামী কে্য়েকদিন পরে বুঝা যাবে।