বুধবার দেশব্যাপী এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এবছর সিলেট শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি পরীক্ষায় বিয়ানীবাজার উপজেলা থেকে ৬ টি প্রতিষ্ঠানের ২ হাজার ৪ শত ৬৭ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ২০৫৯ জন। পাশের হার শতকরা ৮৩.৪৭।
বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজ থেকে অংশ নেয় ১হাজার ১শত ২৯জন। যার মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ১হাজার ৭৬জন। পাশের হার শতকরা ৯৫.৩১। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫৮ জন শিক্ষার্থী।

দুবাগ স্কুল এণ্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ২৩১ জনের মধ্যে পাস করেছে ১৩২ জন। সৈয়দ নবীব আলী কলেজ থেকে ৩০৩ জনের মধ্যে ২২৮ জন। কুড়ারবাজার কলেজ থেকে ১৪৩ জনের মধ্যে ৯৪ জন। বৈরাগীবাজার কলেজ থেকে ২৬৩ জনের মধ্যে পাস করেছে ২২৯ জন পরীক্ষার্থী। যার মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ জন শিক্ষার্থী এবং বিয়ানীবাজার আদর্শ মহিলা কলেজ থেকে ৩৯৮ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ৩০০ জন শিক্ষার্থী।
এইচএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় বিয়ানীবাজারে সন্তোষজনক অর্জন করেছে শিক্ষার্থী। করোনা ও বন্যা পরিস্থিতির মধ্যে শিক্ষার্থীদের এই অর্জনে আমরা গর্বিত। আমার কলেজের পক্ষ থেকে আমি সবাইকে জানাই অভিনন্দন ও শুভ কামনা।
এদিকে, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবারের আলিম পরীক্ষায় বিয়ানীবাজার থেকে অংশ নেয় ৫ টি প্রতিষ্ঠানের ১৮৫ জন পরীক্ষার্থী। এদের মধ্যে পাস করেছে ১৭৫ জন। পাসের হার শতকরা ৯৪.৬০%। জিপিএ৫ এসেছে ১৭ টি। যার মধ্যে বিয়ানীবাজার কামিল মাদ্রাসার ৮ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ অর্জন করেছে।
বিয়ানীবাজার কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. আব্দুল্লাহীল বাকী চৌধুরী বলেন, বিয়ানীবাজারে আলিম পরীক্ষায় ভাল ফলাফল করেছে শিক্ষার্থীরা। তাদের জন্য আমার দোয়া রইল।
এছাড়াও প্রথমবারের মতো জালালিয়া মহিলা আলিম মাদরাসা থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে শতভাগ কৃতকার্য হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির ১৭ জন শিক্ষার্থী। যার মধ্যে এসেছে দুটি জিপিএ-৫ ও ।
স্বাভাবিক সময়ে এপ্রিল মাসে পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে ৭ মাস পরে অনুষ্ঠিত হয় এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা।