গত ৩ জুন শরীরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া বিয়ানীবাজারের দুবাগ ইউনিয়নের বাঙ্গালহুদা গ্রামের সত্তোর্ধ্ব মুক্তিযোদ্ধা আবদুল করিমের নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন ‘নেগেটিভ’ এসেছে। বুধবার (১০ জুন) দুপুরে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে মুঠোফোনে একটি ক্ষুদে বার্তায় মৃত মুক্তিযোদ্ধার স্বজনদের ‘নেগেটিভ’ আসার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
গত ৩ জুন দুপুরে বার্ধক্যজনিত কারণে সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মুক্তিযোদ্ধা আবদুল করিম। এর আগে শরীরের করোনার উপসর্গ জ্বর ও ব্যথা থাকায় গত ৩১ মে স্বেচ্ছায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নমুনা দিয়ে আসেন মুক্তিযোদ্ধা আবদুল করিম। নমুনা দেয়ার ৪ দিন পরও তিনি মৃত্যুবরণ করায় তার দাফন কার্য সম্পাদন করা নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়ে যান উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, আত্নীয়-স্বজন ও এলাকাবাসী। পরে পারিবারিক অসম্মতি থাকায় প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ ও স্বজনদের সমঝোতায় স্বাভাবিকভাবেই ওই মুক্তিযোদ্ধার জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়। এরপর মৃত্যুর ১০ দিনের মাথায় করোনার রিপোর্ট নেগেটিভ আশায় পরিবার-পরিজনসহ স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল করিমের নাতি আবুল হাসেম বলেন, আমার নানা সচেতনতার তাগিদে শরীরের করোনাভাইরাসের উপসর্গ থাকায় স্বচ্ছায় পরীক্ষার জন্য নমুনা দিয়ে এসেছিলেন। একটু দেরিতে হলেও করোনার রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় আমরা স্বস্তিবোধ করছি। তিনি বলেন, গত ৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ায় তার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে স্থানীয় এলাকায় আমাদের পরিবার সামাজিকভাবে কিছুটা রোষানলে পড়ে যায়। কিন্তু অবশেষে রিপোর্ট নেগেটিভ আসা পরিবারের সকলেই স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে তার মৃত্যুর শোক কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করছে।
‘এবি টিভি’র সর্বশেষ প্রতিবেদন-