বিয়ানীবাজারে সাম্প্রতিক সময়ে তিন তরুণ নিখোঁজের ঘটনাটি পরিবার ও স্বজনরা অপহরণ দাবি করলেও বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ বলছে এগুলো অপহরণ নয়। বিশেষ করে উদ্ধার হওয়া দুই তরুণের বিষয়টি একান্ত ব্যক্তি ঘটনা। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপহরণ বিষয়ে ছড়ানো হয়েছে।
এসব ঘটনায় বিয়ানীবাজার উপজেলার তরুণদের অভিভাবকদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। থানা পুলিশ আতংকিত না হওয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, তরুণ ব্যবসায়ী মারজানের বিষয়টি তিনি পুলিশ তদন্ত করছে। তাকে পাওয়া গেলে ঘটনার পুরো বিষয়টি জানা যাবে। অন্য দুই তরুণের বিষয়টি পুলিশ অবহিত হয়েছে সেগুলো অপহরণের মতো কোন ঘটনা নয়।

গত ২৯ জানুয়ারি থেকে বিয়ানীবাজার পৌরশহরের আব্দুস সাত্তার শপিং কমপ্লেক্সের মোবাইল ব্যবসায়ী উপজেলার মুড়িয়া ইউনিয়নের বড়দেশ গ্রামের তরুণ মারজান নিখোঁজ রয়েছেন। পরদিন ৩০ জানুয়ারি বিয়ানীবাজার-বারইগ্রাম সড়কের চন্দ্রগ্রাম যাত্রি ছাউনি এলাকা থেকে তার ব্যবহৃত মোটর সাইকেল পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পরিবারের স্বজনরা মারজান অপহরণ হয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যমের কাছে দাবি করেন। ঘটনার পরিবারের স্জনদের কাছে মুক্তিপণ চেয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির কল আসা নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। মারজান অপহৃত হওয়া এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে উদ্ধারের দাবিতে ৩০ জানুয়ারি পৌরশহরে বিক্ষোভ মিছিল ও অবরোধ করেন ব্যবসায়ীরা।
পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগে কাজ করা এক কর্মকর্তার ধারণা, মারজানের নিখোঁজ হওয়া এবং পরিত্যক্ত অবস্থায় মোটর সাইকেল পাওয়া নিয়ে রহস্য রয়েছে। বিশেষ করে মোটর সাইকেল যেখানে পাওয়া গেলে সাইকেলটি ডাবল স্ট্যান্ড করা ছিল। যারা মোটর সাইকেল ব্যবহার করেন কয়ের মাসের মধ্যে ডাবল স্ট্যান্ড করার প্রয়োজন পড়ে না। তিনি বলেন, অপহরণ করা হলে মোটর সাইকেলটি মাটিতে পড়ে থাকা অবস্তায় থাকতো, কোনভাবে সেটি ডাবল স্ট্যান্ড করা থাকতো না।