বছরের প্রথম দিনে বিয়ানীবাজারে বই উৎসব সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার (০১ জানুয়ারি) সকাল থেকে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজিত বই উৎসবের উদ্বোধন অনুষ্ঠান বৈরী আবহাওয়ার কারণে সম্পূর্ণ হয়নি। বৃষ্টির কারণে অধিকাংশ স্কুলের বই উৎসব যথা সময়ে শুরু কিংবা শেষ না হওয়ায় অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ লক্ষ্য করা গেছে।

বিয়ানীবাজার উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত বই উৎসব সকাল ১০টায় উদ্বোধন করার কথা থাকলেও নির্ধারীত অতিথিরা যথা সময়ে না আসায় সকাল ১১টার দিকে বই উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এর পর আচমকা বৃষ্টি ও ধমকা হাওয়ার কারণে উৎসব সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পারেননি দায়িত্বশীলরা।

এ নিয়ে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। নির্ধারীত সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠান শুরু হলে উৎসব সুন্দরভাবে শেষ হয়ে যেত। বৃষ্টিতে নতুন বই ভিজতো না। একই সাথে নতুন বই মাটিতে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। তারা দায়িত্বশীলদের খামখেয়ালীপনাকে দায়ি করেছেন।

অভিভাবক নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘সকাল ১০টার আগে ছেলেকে নিয়ে এসেছি- এক ঘন্টারও বেশি সময় এখানে বসে থাকতে হয়েছে। সব স্কুলের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা উৎসবে স্থলে যথা সময়ের আগে আসলেও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ অতিথিরা আসেন ১১টায়। দেরিতে শুরু হওয়ায় বই উৎসব যেভাবে হওয়ার কথা সেভাবে হয়নি। উল্টো শিক্ষার্থীদের সাথে আমরা বিড়ম্বনায় পড়েছি।

‘আমরা শীতের মধ্যে সাড়ে ৯টার আগে আসলেও অতিথিরা ১১টায় এসেছেন। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের এভাবে কষ্ট দেয়া কোন অবস্থায় দায়িত্বশীলতার পর্যায়ে পড়ে না। আগামীতে এ বিষয়টি তারা বুঝলে আমাদের জন্য মঙ্গল হবে- ক্ষোভের সাথে এ কথাগুলো বলেন আফিয়া বেগম। বৃষ্টিতে ভেজা সন্তানের মাথা মুছে দিতে গিয়ে তিনি বলেন, এইটুকু শিশুতে শীতের মাঝে ভিজতে হয়েছে।’

এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মৌলদুর রহমান বলেন, বই উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা সকাল ১০টায় নির্ধারণ করা হলেও নির্ধারীত অতিথিরা আসতে দেরী করার উৎসব শুরু করতে কিছুটা দেরি হয়েছে। তিনি বলেন, বৃষ্টি আসার আগেই আমরা উৎসবে মূল কাজ সম্পন্ন করেছি। বৃষ্টির কারণে অতিথিরা বক্তব্য দিতে পারেননি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী মাহবুব বলেন, আমরা চেষ্টা করি সব অনুষ্ঠান নির্ধারীত সময়ে শুরু করতে। আজো উপজেলা প্রশাসনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকলেও অতিথিরা নির্ধারীত সময়ে আসেননি। যার কারণে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কিছুটা বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে। তিনি বলেন, আগামীতে এ বিষয়টিতে গুরুত্ব দেয়া হবে- যাতে নির্ধারীত সময়ে অনুষ্ঠান শুরু করা যায়।

উল্লেখ্য- প্রত্যেক বছর পৌরশহরের আশপাশে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলের প্রত্যেক শ্রেণির প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে নতুন বই বিতরণ করা হয়ে থাকে। বুধবারও একইভাবে অনুষ্ঠান শুরু করার কথা থাকলেও নির্ধারীত সময়ে অনুষ্ঠান শুরু না হওয়ায় বৃষ্টি কারণে উৎসব সম্পন্ন হয়নি।