সিলেট-বিয়ানীবাজার আঞ্চলিক মহাসড়কের জলঢুপ এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত মোটর সাইকেল আরোহী ব্যক্তি যুবক নয় তিনি মধ্য বয়স্ক একজন স্কুল শিক্ষক। তাঁর বাড়ি পাশ্ববর্তী বড়লেখা উপজেলার তারাদরম গ্রামে।

বুধবার রাত পৌনে ১০টার দিকে জলঢুপের ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকে অজ্ঞাত যানবাহনের ধাক্কায় তিনি ঘটনাস্থলে মারা যান।লাশের পাশে থাকা লাল রঙের মোটর সাইকেলটি (সিলেট ল১১-৪৮৭০) ধুমড়ে মুচড়ে গেছে।

নিহত স্কুল শিক্ষক আইয়ুব আলী (৬২) খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি বড়লেখা উপজেলার তারাদরম এলাকার মৃত আব্দুল মালিকের পুত্র। গোলাপগঞ্জ উপজেলার ভাদেশ্বর নাসির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ে তিনি শিক্ষক ছিলেন।

সড়কের উপর তাঁর লাশ প্রথমে দেখতে পান স্থানীয় খায়রুল আলম নামের এক যুবক। তিনি নিহতের স্বজনদের সাথে রাস্তায় পড়ে থাকা মোবাইল ফোনটির মাধ্যমে যোগাযোগ করেন বলে ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশ কর্মকর্তা বিয়ানীবাজার নিউজ২৪কে জানান।

খবর পেয়ে বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল সম্পন্ন করেছে। নিহতের মাথা ও মুখ পুরোটাই থেতলে গেছে। সড়কের উপর ছড়িয়ে রয়েছে মস্তিকের ক্ষতবিক্ষত অংশ।

বিয়ানীবাজার থানার এসআই শাহ হিমেল বলেন, লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী করে এ্যাম্বুল্যান্সে করে থানা নেয়া হয়েছে। আগামীকাল ময়না তদন্তের জন্য সিলেটের ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হবে। তিনি জানান, প্রথম লাশটি দেখেন খায়রুল আলম নামের স্থানীয় এক যুবক। লাশের কাছাকাছি আসার আগে তাকে দ্রুত গতিতে পাশ কাটিয়ে একটি পিকআপ ভ্যান চলে যায়। পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, লাশের অবস্থান ও দুর্ঘটনা কবলিত মোটর সাইকেলের অবস্থান সড়কের বাম পাশে রয়েছে। সেজন্য বলা যায় নিহত যুবক সড়কের সঠিক অবস্থানেই ছিলেন।

মুড়িয়া হাওরকে মাছের অভয়াশ্রম করতে বিয়ানীবাজার উপজেলা প্রশাসনের মতবিনিময়