করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে প্রায় পাঁচ মাস থেকে বন্ধ রয়েছে সারাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠেতে সরকার টিভি, বেতারের পাশাপশি অনলাইন ক্লাস চালু করেছে। এতে করে মাধ্যমিক কিংবা উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার্থীরা কিছুটা উপকৃত হলেও নানা কারণে এটি প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জন্য তেমন কার্যকর বলে মনে করছেন না অভিভাবকরা। বিশেষ করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মনযোগ হারাচ্ছে শিক্ষা-কার্যক্রম থেকে। বিয়ানীবাজারের প্রেক্ষাপটও তাই।
উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারে বেড়ে ওঠায় টেলিভিশন, কম্পিউটার কিংবা স্মার্টফোন ব্যবহার করে ক্লাসে অংশ নেওয়া থেকে বঞ্চিত থেকে যাচ্ছে তারা। যদিও এই সমস্যা লাগবে সরকার বেতারের মাধ্যমে পাঠদান কার্যক্রম চালু করেছে। কিন্তু কোন উদ্যোগই কার্যত উপকারে আসছে না। তবুও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা শিক্ষা অফিসের নির্দেশনা মোতাবেক ডিজিটাল নানা মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত পাঠদান ও হোম ওয়ার্ক প্রদান করছেন। অনেকেই আবার সরকারি নির্দেশনার আগে থেকে নিজ উদ্যোগে এসব কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন।
পৌর এলাকার নবাং-সুতারকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিক হাফছা খানম বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে হঠাৎ করে বিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকেই শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা স্বাভাবিক রাখতে নিয়মিত খোজখবর নিচ্ছি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হোয়াটস্যাপ, ইমো, ফেসবুক মেসেঞ্জারে শ্রেণীভিত্তিক গ্রুপ তৈরি করে সেখানে শিক্ষকরা নিয়মিত পড়া দিচ্ছেন, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পড়া আদায়ও করছেন।
করোনার এই দূর্যোগকালীন সময়েও প্রাথমিকের শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রয়েছে দাবি করে উপজেলার ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা টিটু কুমার দে বলেন, সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সাথে শিক্ষকদের নিয়মিত পাঠদান ও যোগাযোগ রয়েছে। অনলাইন ক্লাসে যেসকল শিক্ষার্থী অংশ নিতে পারছেন না, স্কুল খোলার পর তাদের প্রতি বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে পাঠদান করার জন্য শিক্ষকদের পরামর্শ দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
আগষ্টের শেষের দিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলতে পারে বলে আলোচনা চলছে । স্বাস্থ্য বিধি মানার পাশপাশি নতুন কারুকলামে এই শিক্ষা পদ্ধতি চালুর বিষয়ে ভাবচ্ছে সরকার বিভিন্ন গনমাধ্যমে উঠে এসেছে এমন তথ্য। তবে এখনও তা নিশ্চিত নয়।