আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ভোটারদের নির্ভয়ে ভোট প্রয়োগে উদ্বুদ্ধ করণ ও বৈঠক এবং অভিযোগ ও নিষ্পত্তি করা নিয়ে জনপ্রতিনিধি ও জনপ্রতিনিধিদের পক্ষের প্রতিনিধিদের নিয়ে দুইটি সভার আয়োজন করে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন।
সোমবার (১ জানুয়ারি) দুপুরের পরে উপজেলা অডিটোরিয়ামে সভা শুরু হলে উপস্থিত হোন ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম।

তখন সভার সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার ফারজানা প্রিয়াংকা উপজেলা চেয়ারম্যানকে মঞ্চে না বসে নিচে সামনের সারিতে বসতে অনুরোধ করলে উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম না বসে সভাস্থল ত্যাগ করেন।
তাকে অনুসরণ করে একে একে সভা থেকে বেরিয়ে যান সিলেট জেলা পরিষদের সদস্য নাহিদ হাসান চৌধুরী, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোহিনী বেগম, ফেঞ্চুগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান তৈয়ফুর রহমান শাহীন, মাইজগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান জুবেদ আহমদ চৌধুরী শিপু,ঘিলাছড়া ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম মনা, উওর ফেঞ্চুগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান আবজাল হোসেন।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সিলেটভিউকে বলেন, ‘জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে সভা হলে আমরা থাকতে পারবো না কেন? অপমানজনক ভাবে আমাকে দর্শক সারিতে বসতে বলা হয়েছে। অবমূল্যায়ন ও অসম্মানজনক আচরনে আমি সভা বর্জন করে বেরিয়ে এসেছি। একি সাথে জেলা পরিষদের সদস্য ও অন্যান্য ইউপি চেয়ারম্যানরাও সভা বর্জন করে বেরিয়ে আসেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার ফারজানা প্রিয়াঙ্কা সিলেটভিউকে বলেন, অভিযোগটা এরকম না। এটি নির্বাচন সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও প্রশাসনের সভা। নির্বাচনে মানুষ কে অভয় দিতে, উদ্বুদ্ধ করতে অবহিতকণ, অভিযোগ নিষ্পত্তি ইত্যাদি বিষয় ফেঞ্চুগঞ্জবাসী,জনপ্রতিনিধি বা তাদের প্রতিনিধি সাংবাদিক সহ সবার সাথে সভাটা করছে প্রশাসন।এখানে মঞ্চে অন্য কাউকে রাখার সুযোগ নেই। তাই উনাকে সামনের সারিতে বসতে বলেছি।