অপেক্ষায় অপেক্ষায়

মরিচা ধরেছে বুকের ভেতর

হয়তো ঘড়ির কাঁটারাও জানেনি

অপেক্ষা কতোখানি নির্মম

কতোখানি সংহারী

কতোটা ভয়ানক!

 

প্রতিকারের চে’ প্রতিরোধই

সেরা –

জানেনা কারা !

তবু আজো এ’ই বুকে জোটেনি

ইলেকট্রোপ্লেটিং প্রলেপ,

রক্তের আড়িতে হিমোগ্লোবিন

বুনে দিয়েছে আক্ষেপ;

কৃষ্ণচূড়ার বিকেলগুলো

কই এলোনা এখনো।

 

এখনো ছায়াপথ ধরে লুব্ধক

লুকোচুরি খেলে,

বর্ষায় ঝাঁকে ঝাঁকে কদম মূর্ছা যায়- বৃষ্টিশব্দে ধ্যানস্থ শোকের নকশীকাঁথায়।

চৈত্রের কাঠফাটা দুপুরও কাউকে অপেক্ষায় ধরে রাখে!

জঙধরা বুকের ভারসাম্যহীনতা স্থায়ী হয়।

ক্রমশঃ আবহমান হয় সুমিষ্ট সর্বনাশ।

 

শারদ সন্ধ্যায় বেদনার ঘট অশ্রু ঝরায়।

অপেক্ষায় চোখের জল হয় স্ফুলিঙ্গ।

অপেক্ষার ভয়ানক রেশ কালের গ্রোতকেও গিলে খায় মৌলিক নিজস্বতায়।