বিয়ানীবাজার উপজেলার পূর্ব মুড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খালেদ আহমদের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ উঠেছিল। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁর উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে এই হাইস্কুলের উদ্ভুত পরিস্থিতিতে সমাধানের লক্ষ্যে স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে আলোচনা সভার আয়োজন করেন স্থানীয়রা। কয়েক দফায় আলোচনা শেষে সমাধানের শেষদিনে সোমবার সকালে বিদ্যালয়ে এসে উপস্থিত হন প্রধান শিক্ষক খালেদ আহমদ ও বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতাসহ এলাকার জনপ্রতিনিধি এবং বিশিষ্টজন।
জানা যায়, এদিন সকালে যথারীতি এলাকাবাসীর লিখিত সমঝোতা পত্রে সাক্ষর করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক, অভিভবাবক কমিটির সদস্যরা এবং সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু সমঝোতা পত্রে সাক্ষর করতে অপরাগতা প্রকাশ করেন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতাদের প্রতি শিক্ষকদের অবমাননাকে ঘিরে উত্তেজনা দেখা দেয়। এ অবস্থায় উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষক ও অফিস সহায়কের কার্যালয়ের গ্লাস ভাঙ্গচুর করে। এসময় বিদ্যালয়ের প্রায় ১০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে জানা যায়। এদের মধ্যে মেয়ে সহ ৫ শিক্ষার্থীকে বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করা হয়। তার মাঝে গুরুতর আহত ২ জনকে সিলেট প্রেরণ করা হয়েছে। পরবর্তীতে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সিদ্ধান্ত না মানায় সভা ত্যাগ করে চলে যান তারা। তাদেরকে অপমানের কারণে বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা বিদালয়ের প্রধান ফটকে তালাবদ্ধ করে অফিস সহায়কদের কাছে চাবি জমা দেয়।
বিষয়টির পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান মুড়িয়া ই্উনিয়নের চেয়ারম্যান।
এ ঘটনার সমাধানে শিক্ষকদের পদত্যাগের দাবি করেন বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা।
উদ্ভুত পরিস্থিতি দেখে বুকে ব্যথা অনুভব করেন সহকারী প্রধান শিক্ষক হারুনুর রশীদ। বিয়ানীূবাজার হাসপাতালে চিকিৎসা নেন তিনি।
এ্ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী শামিম জানান বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।