১৯ শে ফেব্রুয়ারী মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক বঙ্গবীর জেনারেল এম এ জি ওসমানীর ৩৩ তম মৃত্যাবার্ষিকি উপলেক্ষ দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয় যুক্তরাষ্ট্র এর নিউইর্য়কে। ১৯৮৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারী শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন স্বাধীনতা যুদ্ধের কিংবদন্তী এই মহাপুরুষ। এমএজি ওসমানী বাংলাদেশের গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক কালজয়ী নাম। আমাদের জাতীয় ইতিহাসের ক্ষণজন্মা এই বীর সেনানীর জন্ম ১৯১৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর।

অনুষ্টানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, এটর্নী মঈন চৌধুরী। প্রধান অতিথি বলেন, ব্যাক্তি গত ভাবে  নয় জাতীয় ভাবে বঙ্গবীর জেনারেল এম এ জি ওসমানীর মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা দরকার। একাত্তরের দীর্ঘ ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধে যার রণকৌশল ও নেতৃত্বে আমরা অর্জন করেছি লাল সবুজের পতাকা, আজও জাতীয়ভাবে পালিত হচ্ছে না তার জন্ম-মৃত্যুবার্ষিকী। জাতীয় পর্যায়ে প্রায় নীরবে নিভৃতে।অনুষ্টানে বক্তা বলেন, ওসমানীর জন্মস্থান সিলেটে বেশ কিছু সংগঠন গুরুত্বের সঙ্গে তার মৃত্যুবার্ষিকী পালন করলেও জাতীয়ভাবে তার মৃত্যু ও জন্মবার্ষিকী পালনের উদ্যোগ নেই আজও। বঙ্গবীর জেনারেল ওসমানীর মৃত্যুবার্ষিকী রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পালনের জন্য বার বার বিভিন্ন মহল থেকে দাবি উঠলেও বিষয়টি আজো রয়েছে উপেক্ষিত।

অনুষ্টানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, লুৎফর রহমান আখতার সাবেক অধ্যক্ষ, দয়ামীর কলেজ ওসমানী নগর উপজেলা,মাসুদুল হক সানু সভাপতি, বিয়ানীবাজার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সমিতি ইউএসএ ইন্ক, বশির উদ্দিন, সাবেক সভাপতি, বালাগঞ্জ ওসমানী নগর সমিতি, আজিমুর রহমান বোরহান সাবেক সভাপতি, বিয়ানীবাজার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সমিতি ইউএসএ ইন্ক, লুৎফর রহমান, সাবেক চেয়ারম্যান, মাতিউরা ইউনিয়ন পরিষদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিল, এ্যাডভোকেট সুফিয়ান আহমেদ চৌধুরী, এডভোকেট শহিদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ওসমানী স্মৃতি পরিষদ, নুরুল ইসলাম, সভাপতি ওসমানী যুব পরিষদ ইউএসএ ইন্ক হেলিম উদ্দিন, সাধারন সম্পাদক, ওসমান যুব পরিষদ ইউএসএ ইন্ক, জাকির হোসেন, সাংগঠনিক ও যোগাযোগ সম্পাদক, ওসমানী যুব পরিষদ ইউএসএ ইন্ক। অনুষ্টানে সভাপতিত্ব করেন,বঙ্গবীর জেনারেল এম এ জি ওসমানীর পিএস ও ওসমানী স্মৃতি পরিষদ এর সভাপতি আব্দুল কাদির, অনুষ্টান পরিচালনা করেন আব্দুল হাসিব।