বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাব চলাকালে পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে বিয়ানীবাজারের তিলপারা ইউনিয়নের দেড় শতাধিক অস্বচ্ছল পরিবারের মাঝে ঈদের উপহার স্বরুপ খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছে মানবিক সংগঠন ‘স্পন্দন’।
গত মঙ্গল ও বুধবার বিভিন্ন ধাপে ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার উপকারভোগীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে অস্বচ্ছল পরিবারগুলোর হাতে এসব ঈদ উপহার সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছে সংগঠনের সদস্যরা। এর আগে রমজানের শুরুতেও স্পন্দন’র উদ্যোগে অসহায় মানুষদের মধ্যে নগদ অর্থ সহায়তা বিতরণ করা হয়েছে।
উপহারসামগ্রী বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা আমিনুল হক ও ডা. আব্দুস সালাম মুক্তা, প্রতিষ্টাতা সদস্য মুহিবুর রহমান,তানভির হোসেন, সাহাব উদ্দীন, সদস্য তৌফিক রাব্বি, আবিদুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ আল নোমান, আবু বক্কর, ইমরান উদ্দীন প্রমুখ।
বছর পাঁচেক পূর্বে বিয়ানীবাজার উপজেলার তিলপাড়া ইউনিয়নের কয়েকজন তরুণের হাত ধরে ‘স্পন্দন’ নামে একটি মানবিক সংগঠনিক যাত্রা শুরু করে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই এ সংগঠনটি তিলপাড়া ইউনিয়নের অস্বচ্ছল পরিবারগুলোর পাশে দাড়ানোর পাশাপাশি আর্তসামাজিক ও আর্তমানবতার সেবায় কাজ করে যাচ্ছে। যেন স্পন্দনের সদস্যরা চেষ্টা করছে অসহায় ও দুঃস্থদের মুখে হাসি ফোটাতে।
করোনাকালীন দুর্যোগ চলাকালেও বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে মানবিক সংগঠন স্পন্দন। গৃহবন্দি মানুষের মাঝে আহার তুলে দেয়াসহ, গৃহ নির্মাণ, দরিদ্র পরিবারের মেয়ের বিয়ে, খৎনা, শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ, পোষাক বিতরণ ও মেধাবৃত্তিসহ স্কুল-কলেজে ভর্তিতেও আর্থিকভাবে সহযোগিতা করেছে এই সংগঠনটি।
সংগঠনের প্রতিষ্টাতা সদস্য মুহিবুর রহমান বলেন, স্পন্দন’র কাজই হচ্ছে গরীব ও অসহায় মামুষের পাশে দাঁড়ানো। মূলত প্রতিষ্ঠার পর থেকে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকেই আমাদের সংগঠন সমাজের হতদরিদ্র মানুষের কল্যাণে কাজ করে আসছে। তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি আমার নিজস্ব অর্থায়নে এবং স্পন্দক’র সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে ইউনিয়নের কালাইম গ্রামে কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া একজন অসহায় নারীর ঘরটি নতুনভাবে মেরামত করে দিয়েছি। আর এভাবেই স্পন্দন’র ছোট্ট ছোট্ট উদ্যোগ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে তিলপারা ইউনিয়নের আর্তসামাজিক অবস্থার পরিবর্তন ঘতানো সম্ভব হবে।
এদিকে, মানবিক সংগঠন ‘স্পন্দন’র বিভিন্ন মানবিক কার্যক্রমের সন্তুষ্টি ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন ইউনিয়নবাসী। সচেতন মহল বলছেন, ‘স্পন্দন’ তিলপাড়া ইউনিয়নকে বদলে দিতেই কাজ করে যাচ্ছে।