জুড়ীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় পূর্বজুড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওবায়দুল ইসলাম রুয়েলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গতকাল বুধবার (৮ ডিসেম্বর ) বিকেলে জুড়ী উপজেলা কমপ্লেক্স চত্বর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, বেলা তিনটার দিকে উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে প্রশাসনের ডাকা একটি সভায় যোগ দিতে যান রুয়েল। সেখান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মামলা সূত্রে জানা যায়, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত ১৬ জুলাই এবং ৩ ও ৪ আগস্ট জুড়ী শহরে কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা। কর্মসূচি চলাকালে ৩ আগস্ট একটি মিছিল বের করে শিক্ষার্থীরা। এ সময় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদেরকে বাঁধা দেয়। একপর্যায়ের হামলা চালিয়ে শিক্ষার্থীদের মারধর করা হয়। পরে ৪ আগস্ট আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে দিনব্যাপী সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান কর্মসূচি সহ বিক্ষোভ মিছিল করে। এ বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন ইউপি চেয়ারম্যান রুয়েল উদ্দিন।

এ ঘটনায় আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের ৬৩ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে গত ২৬ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমম্বয়কারী তারেক মিয়া বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন। এ মামলার অজ্ঞাত আসামী হিসেবে পূর্বজুড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওবায়দুল ইসলাম রুয়েল উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জুড়ী থানার ওসি মোঃ মুরশেদুল আলম ভূঁইয়া বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান রুয়েল উদ্দিন কে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি জানান, ইউপি চেয়ারম্যান ওবায়দুল ইসলাম মামলাটির এজাহারভুক্ত আসামি না হলেও তদন্তে ঘটনার সঙ্গে তাঁর সম্পৃক্ততার তথ্য-প্রমাণ মিলেছে।

তিনি আরো জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আওয়ামী লীগসহ এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মিছিলে সামনের সারিতে ছিলেন তিনি।বুধবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ওবায়দুল ইসলাম সর্বশেষ ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হন। তিনি আওয়ামী লীগের সমর্থক হলেও তার দলীয় কোনো পদপদবি নেই।