বিয়ানীবাজারে করোনা রোগ প্রথম শনাক্ত হয় ২৪ এপ্রিল। এরপর ক্রমাগত করোনা রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও জুন মাসে সেটি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। ৩১ মে পর্যন্ত ৩৭ দিনে ১৩ জন শনাক্ত হলেও ১ জুন থেকে ১১ জুন পর্যন্ত এ সংখ্যা ৩০ জনে উন্নীত হয়েছে। জুন মাসের প্রথম ১১ দিনে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ জন!

করোনার বিস্তার রোধে স্বাস্থ্যবিধি না মানা এবং শহর ও গ্রাম অঞ্চলে চলাচল সীমিত না রাখার খেসারত চরমভাবে দিতে হতে পারে প্রবাসী অধ্যুসিত বিয়ানীবাজারবাসীকে। ৩ জুন উপজেলায় সর্বোচ্চ ৫ জন আকান্ত হন করোনায়। এরপর লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। সর্বশেষ ১১ জুন ৪ জন করোনায় আক্রান্ত হলে উপজেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ জনে পৌঁছায়। সর্বশেষ ৮দিনে প্রতিদিন গড়ে ২জনের বেশি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আর আক্রান্তের বেশিরভাগ পৌরসভার অধিবাসী। এদের মধ্যে বেশিরভাগ পৌরসভায় কাজ করেন বিভিন্ন জেলা থেকে আগত ব্যাংক, এনজিও কিংবা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান-বাসাবাড়ির কর্মচারি।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) ডাক্তার আবু ইসহাক আজাদ বলেন, করোনার বিস্তাররোধে শুরু থেকে সামাজিক দুরত্ব মেনে চলা, অপ্রয়োজনে বাইরে বের না হওয়া আহবান জানালে সেটি মানা হয়নি। এছাড়া নমুনা দিয়ে ফলাফল আসার আগে হোম কোয়ারেন্টাইন মানা হচ্ছে না। তিনি বলেন, নমুনার ফলাফল হাতে পেয়ে পজেটিব আক্রান্ত ব্যক্তিকে কল দিলে জানতে পারি তিনি শশুড় বাড়ি! যার কারণে আমাদের পরিশ্রম সেভাবে কাজে আসছে না। এখনো সময় আছে সবাই মিলে নিয়ম মানলে ভয়াবহ পরিনতি থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।

বিয়ানীবাজার উপবৃত্তির টাকা নিয়ে বিপাকে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা