মুঠোফোনে ছবি তোলা নিয়ে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার হামলায় সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের দুই শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (১১ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন নয়াবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তৎক্ষণাৎ আহত দুজনকেই সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত দুজন হলেন ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. মাশরাফি ও জোবায়েদ হাসান। বাঁশের লাঠির আঘাতে মাশরাফি মাথা ও কানে আঘাত পেয়েছেন। অন্যদিকে জোবায়েদ হাতে আঘাত পেয়েছেন।

পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাত সাড়ে ১১টার দিকে নয়াবাজার পয়েন্টের পাশে ওয়াজ মাহফিল চলছিল। এ উপলক্ষে পাশের সড়কে বিভিন্ন ধরনের অস্থায়ী দোকানপাট বসেছিল। সেখানে ছবি তোলা নিয়ে স্থানীয় যুবকদের সঙ্গে মাশরাফি ও জোবায়েদের বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে স্থানীয় কয়েকজন মিলে ওই দুই শিক্ষার্থীর ওপর বাঁশ-লাঠি নিয়ে হামলা চালায়। এতে তারা আহত হন। এ সময় এক শিক্ষার্থীর মুঠোফোন ভেঙে দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

এ বিষয়ে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী সাকিব আল হাসান বলেন, ‘এক সহপাঠীর জন্মদিন উৎযাপন করে আমরা ১২ জন চা পানের জন্য নয়াবাজার এলাকায় গিয়েছিলাম। সেখানে মাহফিল উপলক্ষে বিভিন্ন দোকান দেখে সেখানেও যাই। মাশরাফি মুঠোফোনে দোকানগুলোর বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও করছিল।

হঠাৎ স্থানীয় কয়েকজন এসে দাবি করেন, মুঠোফোনে নারীর ছবি তোলা হয়েছে। এর একপর্যায়ে মুঠোফোনটি কেড়ে নিয়ে সেটি ভেঙে ফেলেন। এ সময় মাশরাফিকে মারধর করলে অন্য সহপাঠীরা এগিয়ে গেলে আমাদের সবাইকে মারধর করেন স্থানীয় ১০ থেকে ১৫ জন। হামলাকারীরা আমাদের বাঁশ দিয়ে আঘাত করেন। আক্রমণকারীদের হাতে ছুরিও দেখা গেছে। এ ঘটনায় আমাদের দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তারা ছিনতাইয়ের জন্য আমাদের কয়েকজনের মুঠোফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। তবে তাদের পরিচয় এখনো জানা যায়নি।’

তিনি বলেন, আহত দুজনই চিকিৎসাধীন ছিল। আজ দুপুরের পর তাদেরকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে তারা জালালাবাদ থানায় গিয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোখলেসুর রহমান বলেন, হামলাকারীরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ না। তাই আমরা এটার বিরুদ্ধে লিগ্যাল অ্যাকশনে যাব। থানার ওসি বিষয়টি দেখছেন। তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর করতে ভিকটিম থানায় গিয়েছে। আর এই বিষয়ে আজকে সন্ধ্যায় থানার ওসির সাথে কথা বলবো।

জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশীদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী এসেছে। তারা অভিযোগ দিলে আমরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এছাড়া আজ সন্ধ্যায় এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের সাথে আমার কথা হবে।