শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর দেশে অদ্ভুত পরিস্থিতি তৈরি হয়। এসময় চুর-ডাকাতির সংখ্যা বেড়ে যায়। পুলিশ পুরোপুরিভাবে কর্মস্থলে ফিরেনি বলে এখনো নিরাপত্তা জনিত কারণে ভুগছেন সাধারণ মানুষেরা। আর এই সুযোগে দুষ্কৃতকারীরা দেশব্যাপী নানা অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করে চলেছে। সারা দেশে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে চোর ডাকাত আতঙ্ক। সম্প্রতি সময়ে বিয়ানীবাজারে বেড়েছে চুরির উপদ্রব। এর আগে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩ টার দিকে পৌর শহরের নিদনপুর গ্রামের মরহুম সালেহ আহমদের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এসময় পরিবারকে জিম্মি করে অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার সহ গুরুত্বপূর্ণ জিনিস নিয়ে যায় ডাকাতরা। চোর ডাকাতকে প্রতিহিত করতে সুপাতলা, খাসাড়ীপাড়া, ফেনগ্রাম,ছোটদেশ, নিদনপুর, মুল্লাপুর, গোডাউন ও সীমান্তবর্তী নওয়াগ্রাম সহ বিভিন্ন গ্রামে পাহারা করতে দেখা গেছে স্থানীয়দের।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পুলিশের কার্যক্রম পুরোপুভিাবে শুরু করার অনুরোধ জানিয়ে এই কাজে থাকা দায়িত্বশীলরা জানান, চোর ডাকাতদের উৎপাত থেকে রক্ষা পেতে বিয়ানীবাজার উপজেলার গ্রামে গ্রামে নিজেদের বাড়িঘর রক্ষা করতে পাহারা দিচ্ছেন স্থানীয়রা। বেশকিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনও সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তায় এলাকাভিত্তিক পাহারা দিয়ে যাচ্ছেন।

নিজ দায়িত্ববোধ থেকেই এই উদ্যোগ নিয়েছেন জানিয়ে দায়িত্বশীলরা প্রতিশ্রুতি দিয়ে জানান, যতদিন পর্যন্ত এলাকায় চুরি-ডাকাতির শঙ্কা থাকবে, ততদিন তারা রাত জেগে এই দায়িত্ব পালন করে যাবেন। পাশাপাশি অত্র এলাকায় সন্দেহভাজন ব্যক্তির দেখা মিললে কিংবা কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে, এলাকাবাসী সহজেই যাতে তাদের জানাতে পারেন, সে জন্য তারা কয়েকটি ফোন নম্বর দিয়েছেন। ফোন পাওয়ামাত্রই তারা ঘটনাস্থলে চলে আসবেন।

প্রায় যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে সরকারের পাশাপাশি দেশব্যাপী বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কার্যক্রমে এগিয়ে এসেছেন দেশের তরুণ ও যুবসমাজ।