গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি। ১২ মার্চ ২০১৭।

গোলাপগঞ্জে মানসিক ভারসাম্যহীন ছোট ভাইকে হত্যার অভিযোগে বড় দুই ভাইকে পুলিশ আটক করেছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, হত্যার পর তড়িঘড়ি করে লাশ দাফনের চেষ্টাও করার হয়। এ ঘটনায় গোটা এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

নিহত যুবক তারেক আহমদ (২৬)উপজেলার ভাদেশ্বর ইউনিয়নের পূর্বভাগ নয়াগ্রামের হারিছ আলীর পুত্র। খবর পেয়ে শনিবার বিকেলে লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে আপন দুই ভাইকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়, দীর্ঘদিন থেকে ঔই এলাকার হারিছ আলীর পুত্র তারেক আহমদ মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল। এ নিয়ে অনেক ডাক্তার ও কবিরাজের কাছে গিয়ে চিকিৎসা করানোর পরও তারেক সুস্থ হয়নি। এলাকাবাসী জানান, শনিবার তারেকের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর তড়িঘড়ি করে লাশ দাফনের চেষ্টা করে তার পরিবারের লোকজন। এসময় লাশের গোসল ও কবর খোড়া হয় লাশ দাফনের জন্য। এলাকাবাসীর কাছে বিষয়টি রহস্যজনক মনে হলে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় খবর দিলে এসআই আতিক ও এসআই শংকর সহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্বার করে থানায় নিয়ে আসেন। এসময় নিহত তারেক আহমদের আপন ভাই
সাদেক আহমদ (৩৫) ও ছালেহ আহমদ (৩০) কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়।

পুলিশ জানায় নিহত তারেকের ঘাড় ভাঙ্গা। এছাড়া বুক, গলা, হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। লাশ উদ্বারের পর পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে।

লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ওসি একেএম ফজলুল হক শিবলী।