গোলাপগঞ্জে কাচাবাজারে দ্রব্যমূল্যে অস্থিরতা বিরাজ করছে। প্রধান বাজারগুলো থেকে গ্রাম পর্যায়ে বাজারগুলোর অবস্থা প্রায় একই। এমন কোন পণ্য নেই যে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছেনা। পটল, আলু, সিসিঙ্গা, দেড়শ, জিঙ্গা, শষা ও কাচামরিচ সহ সকল জিনিসপত্রের দামে আগুণ। এমন পরিস্থিতিতে বাজার মনিটরিংয়ে নেমেছে উপজেলা প্রশাসন।

রবিবার উপজেলার লক্ষণাবন্দ ইউনিয়নের পুরকায়স্থ বাজার মনিটরিংয়ে গিয়ে দোকানে দাড়িয়ে কম দামে কাচামরিচ বিক্রি করান তিনি। এসময় কমদামে কাচামরিচ কিনতে ক্রেতারা ভীড় করেন দোকানে। মুহুর্তের মধ্য দোকানে থাকা কাচামরিচ গুলে নিমিষেই বিক্রি হয়ে যায়।

জানা যায়, দীর্ঘদিন থেকে কাচাবাজারে জিনিসপত্রে যেন আগুণ ঝরছে। লাউ চোট ৬০টাকা, আলু ৫৫-৬০ টাকা, পটল ৭০ টাকা, টমেটো ২০০-১৮০৷ টাকা, জিঙ্গা ৭০ টাকা, সিসিঙ্গা ৭০ টাকাসহ সকল পণ্য বাড়তি দামে বিক্রি করা হচ্ছে। এমন খবরে বাজার মনিটরিংয়ে নামে উপজেলা প্রশাসন। রোববার উপজেলার লক্ষণাবন্দ ইউনিয়নের পুরকায়স্থ বাজারে বাজার মনিটরিং করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্যােট আলী রাজিব মাহমুদ মিঠুন। এসময় বাজার মনিটরিং এর সময় মূল্য তালিকা না থাকায় একটি দোকানে ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়। এরপর পুরকায়স্থ নতুন বসজারে অবিযান চালানো হয়। এসময় বাজারে ২৫০-২০০ টাকা কাচামরিচের কেজি বিক্রি করা হচ্ছে বলে ক্রেতারা অভিযোগ করেন। পরে ইুএনও এক ব্যবসায়ীকে কেন এতো দামে কাচামরিচ বিক্রি জরা হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি কেন সুরোত্তম দিতে পারেননি। পরে তার ভূল শ্বীকার করলে ইউএনও দোকানের দাড়িয়ে ১৫০ টাকা কেজিতে কাচামরিচ বিক্রি করান। এসময় মুহুর্তের মধ্যে দোকান থেকে সকল কাচামরিচ নিমিষেই শেষ হয়ে যায়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলী রাজিব মিঠুন বলেন, প্রতিদিন উপজেলা প্রশাসনের পক্স থেকে বাজার মনিটরিং করা হবে। এসময় তাকে সহযোগিতা করেন বেঞ্চ সহকারী রোমান আহমদ নোশাদ ও গোলাপগঞ্জ মডেল থানার একদল পুলিশ।