গোলাপগঞ্জে স্ত্রী দাবী করে সড়কে টানাহেঁচড়া করেছে দু’স্বামী। এসময় একজনের আঘাতে অন্যজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সোমবার দুপুরে উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, উপজেলার বাদেপাশা ইউপির মীরের চক গ্রামের বিলাল আহমদের কন্যা রুমা বেগম (২০) এর গত বছর বিয়ে হয় বড়লেখা থানার মাইজগ্রামের মৃত শখাওত আলীর পুত্র আব্দুর রহিম (৪০) এর সাথে। প্রায় তিন মাস আগে আব্দুর রহিম তার স্ত্রীকে শ্বশুর বাড়ী রেখে যান। কিছু দিন পর স্ত্রীকে নিতে শ্বশুর বাড়ী আসেন রহিম। স্ত্রীকে সেখানে না পেয়ে শ্বাশুড়ি কাছে জানতে চাইলে আত্মীয় বাড়ি বেড়াতে গেছে বলে জানানো হয়। তখন স্ত্রী রুমাকে নিয়ে স্বামী আব্দুর রহিমের সন্দেহ হয়। তিনি খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন- তার বিবাহিত স্ত্রী রুমা বেগমের সাথে জকিগঞ্জ উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের এলেনজুরী গ্রামের খলিলুর রহমানের পুত্র জামিল আহমদ (২১) এর সম্পর্ক রয়েছে। তারা দুইজন এখন একসাথে থাকছে।

এদিকে জকিগঞ্জের জামিল আহমদ রুমাকে তার বিবাহীতা স্ত্রী বলে দাবী করে জানান- গত শনিবার বিকালে আমার বাড়ি থেকে রুমার পিত্রালয়ে রমজান উপলক্ষে বাজার খরচ করে নিয়ে এসে আমার স্ত্রীকে নিয়ে সেখানে দুই রাত যাপন করি। আজ  বাড়িতে ফেরার পথে হঠাৎ দেখতে পাই একজন লোক আমার পিছু পিছু হাটছে। একসময় ঢাকাদক্ষিণ বাজারে এসে সে (আব্দুর রহিম) আমাকে আক্রমন করে।

রুমার প্রথম স্বামী আব্দুর রহিম জানান, রুমা আমার বিবাহীতা স্ত্রী। প্রায় একবছর আগে আমার সাথে রুমার বিয়ে হয়। সে আমার স্ত্রী, আমি তাকে তালাক দেইনি। তিনি অভিযোগ করেন, রুমার পিতা মাতা আমাকে দিয়ে ৫০হাজার টাকা ব্যাংক লোন তুলিয়েছেন। এভাবে কয়েকবার আমি তাদের টাকা উত্তোলন করে দিয়েছি। টাকা ফেরত না দেওয়ার জন্য রুমাসহ তার পিতা মাতা আমার সাথে কয়েকদিন যাবৎ খারাপ আচরণ করে আসছে।

এ ব্যাপারে ঢাকাদক্ষিণ ইউপি চেয়ারম্যান মাও. আব্দুর রহিম বলেন, স্থানীয় লোকজন ঘটনার সাথে জড়িত দুই ব্যক্তিকে আটক করে ইউনিয়নে অফিসে নিয়ে আসেন। তখন তাদের কাছ থেকে বিষয়টি জেনে রুমা বেগমের মায়ের সাথে  ফোনে কথা হলে তিনি জানান আব্দুর রহিমের সাথে তার মেয়ের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটেছে। এরপর জামিল আহমদের সাথে রুমার বিয়ে হয়েছে কি না জানতে চাইলে রুমার মা বিয়ের কথা অস্বীকার করেন।

এসময় তিনি রুমাকে ও তার মাকে স্থানীয় ইউপি সদস্যকে নিয়ে ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নে আসার কথা বললে তারা আসতে অপারগতা প্রকাশ করে মোবাইল বন্ধ করে রাখেন। তখন  দুজনকে ইউপি কার্যালয়ে রেখে দু’পক্ষের অভিভাবকদের খবর দেওয়া হয়।