নগরী থেকে এক কিশোরীকে অপহরণ করে গণধর্ষণের মামলার আসামি হাসানুজ্জামান ইস্পাহানীকে সুনামগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁতে আদালতে হাজির করে পুলিশ ৭ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি গৌসুল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার রাত ১১ টার দিকে সুনামগঞ্জের আরফিননগর গ্রামের নিজ বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ফয়েজ সংবাদ মাধ্যমকে জানান, হাসানুজ্জামানসহ তাঁর চারজন সহযোগীর বিরুদ্ধে এক কিশোরীকে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে থেকে অপহরণ করে নিয়ে গণধর্ষণ করেন। হাসানুজ্জামান সুনামগঞ্জের আরফিননগর গ্রামের চা-বিক্রেতা আবদুল আলীর ছেলে। তাঁর বিরুদ্ধে ২২টি মামলা রয়েছে বলেও পুলিশ জানতে পেরেছে।
উল্লেখ্য, ২২ জুলাই শনিবার ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে থেকে এক কিশোরীকে অপহরণ করা হয়। পরদিন এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। উদ্ধারের অপহরণের ২ দিন পর ২৫ জুলাই মঙ্গলবার সুনামগঞ্জ থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন ২৬ জুলাই বুধবার ওই কিশোরীকে আদালতে হাজির করে ২২ ধারায় জবানবন্দি নেওয়া হয়। জবানবন্দিতে সে জানায়, হাসানুজ্জামান ও তাঁর সহযোগীরা অপহরণের পর সুনামগঞ্জের একটি নির্জন বাড়িতে আটকে রেখে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।