বিয়ানীবাজার-চন্দরপুর সড়কের পাশের খালটির উৎস মুখ দখর করে নির্মাণ করা হয়েছে পৌরসভা মিনি বাস টার্মিনালের প্রাচীর। লোলাখালের সাথে সংযুক্ত এ খালটির পৌরসভা অংশের বেশ কিছু স্থানে প্রাচীর ও রাস্তা নির্মাণ করে দখল করা হলেও প্রশাসন থেকে উচ্ছেদের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।

২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে খালটি দখলমুক্ত করতে স্থানীয়দের আন্দোলনের মুখে উপজেলা প্রশাসন খালের সীমানা নির্ধারণ করেছিলো। পরবর্তীতে উচ্ছেদের জন্য ব্যবস্থা নেয়া হলেও রহস্য কারণে উপজেলা প্রশাসন তা বাস্তবায়ন করেনি। ভুক্তভোগীদের ধারণা তৎক্ষালিন পৌরসভার মেয়রসহ সরকারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের চাপের কারণে খাল দখলমুক্ত করা হয়নি। অথচ স্রোতসিনী লোলাখালসহ লোলাখালের সংযোগ এ খাল দখলমুক্ত করতে প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিয়ানীবাজারসহ সিলেট অঞ্চল বার বার বন্যায় কবলিত হচ্ছে। বন্যার পানি নেমে গেলেও খালগুলো অবৈধ দখলে থাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। ফলে দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা পড়েন স্থানীয় অধিবাসীসহ কৃষকরা।

খাল অবৈধ দখলমুক্ত করা হবে জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌরসভার প্রশাসক কাজী শামীম বলেন, কোন অবস্থায় খাল অবৈধ দখলে রাখা যাবে না। পানি নিস্কাসন দ্রুত করতে হলে খাল দখলমুক্ত করতে হবে।

২০২০ সালে স্থানীয়দের আন্দোলনে মুখে তৎক্ষালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী মাহবুব খালের সীমানা নির্ধারণ করেছিলেন। কিন্তু সে সময়ের রাজনৈতিক কারণে উপজেলা প্রশাসন উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করতে পারেনি।