বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জ উপজেলাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি কুশিয়ারা নদীর বহরগ্রাম-শিকপুর সেতু নির্মাণের। ২০১১ সালে প্রয়াত স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম গোলাপগঞ্জের বাঘিরঘাট এলাকায় এক অনুষ্ঠানে সেতু নির্মাণের ঘোষণা দিলে আনন্দ ভাসেন দুইপাড়ের লাখো মানুষ। কিন্তু বর্তমান সরকারের প্রথম মেয়াদের প্রয়াত মন্ত্রীর ঘোষণার বাস্তবায়নে দৃশ্যমান কোন উদ্যোগ চোখে পড়ছে না।

ঘোষণার এক দশক পেরিয়ে গেলেও সেতু নির্মাণ শুরু তো হয়নি। তবে সম্ভাব্যতা যাচাই, প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেই দায়িত্বশীলরা কাটিয়ে দিয়েছেন এক দশক। প্রয়াত স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর ঘোষণার পরই সেতু নির্মাণে ডিও লেটার থেকে শুরু করে জাতীয় সংসদে কথা বলেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি। শিক্ষামন্ত্রী থাকাবস্থায় সেতু নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু করতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে একাধিকবার তাগদা দিলেও কাজের তেমন অগ্রগতি হয়নি। বর্তমান সরকারের তৃতীয় মেয়াদের মধ্য সময়ে সেতু নির্মাণে প্রক্রিয়া প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনে আটকে আছে।

সর্বশেষ আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেন সেতু নির্মাণের প্রকল্প প্রধান মঞ্জুরুল আলম সিদ্দিক। তিনি এ সময় আগামী বছরের জুন-জুলাই মাসের দরপত্র আহবান করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন বলে জানান জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা বাণীগ্রামের বাসিন্দা এমদাদুর রহমান।

প্রকল্প প্রধানের প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনকালে সঙ্গে ছিলেন ডিজাইন এন্ড সুপারভিশন (সিআইবিআরআর) মো আনোয়ার হোসেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সৈয়দ মিসবাহ উদ্দিন, গোলাপগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসান, সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী এ কে এম শহীদুল ইসলাম, উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী খুরশেদ আলম, গোলাপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা আব্দুল মুকিত, সদস্য রুহেল আহমদ রিপন, বুধবারীবাজার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মস্তাকুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আফতাব হোসেন।

এলাকাবাসী দ্রুত সময়ের মধ্যে বহরগ্রাম-শিকপুর সেতু নির্মাণ শুরু করার দাবি জানান স্থানীয় অধিবাসীরা। বাণীগ্রামের জামাল হোসেন বলেন, সেতু নির্মাণ করার ঘোষণা দিলেও নির্মান কাজ শুরুই হয়নি। এর মধ্যে পারাপারের ফেরীটিও সরিয়ে নেয়া হয়েছে ৩/৪ বছর আগে। যার কারণে আমরা যাতায়াত ভোগান্তি রয়েছি। আরেক অধিবাসী ফুরকান আহমদ বলেন, ১০ বছর আগে সেতু নির্মাণের ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই আমরা আশায় আছি। কিন্তু এ আশা এখন অনেকটা ফিকে হয়ে যাচ্ছে। সত্যি কি সেতু নির্মাণ হবে- প্রশ্ন রাখেন তিনি।

সাবেক শিক্ষামন্ত্রীর এপিএস বর্তমান বিয়ানীবাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মাকসুদুল ইসলাম আউয়াল বলেন, বহরগ্রাম-শিকপুর সেতু নির্মাণ হবে এতে কোন সন্দেহ নেই। গভীর এ নদীতে সেতু নির্মাণের পূর্বে অনেক বিষয় নিয়ে কাজ করতে হয়, দায়িত্বশীলরা সেই কাজগুলো অনেকটা এগিয়ে নিয়েছেন।

বিয়ানীবাজারের পাতন গ্রামের প্রবাসী, যুব সমাজ ও একতা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ফ্রি অক্সিজেন সার্ভিস চালু