আগামী ৪ মে থেকে শুরু হওয়া উপজেলা নির্বাচন দলীয় প্রতীকে না হওয়ায় বিএনপি-জামায়াত নির্বাচনে আসছে এমন সংবাদে উৎফুল্ল দলগুলোর নেতাকর্মীরা। উন্মুক্ত নির্বাচন হওয়ায় সে সুবিধা নিতে এরই মধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন। চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে সম্ভাব্য একাধিক প্রার্থী থাকলেও দলগুলো রাজনৈতিক কৌশলে নির্বাচনী মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আসবে এটা প্রায় নিশ্চিত।
জেলা ও উপজেলা বিএনপি’র কয়েকজন দায়িত্বশীল নেতা বলেন, দলীয় নেতাকর্মীদের উজ্জীবীত করতে উন্মুক্ত (দলীয় প্রতীক ছাড়া) নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিতে পারে। কেন্দ্র থেকে দলীয় সিদ্ধান্তের সে রকম কোন আভাস না থাকলেও তৃণমূল নেতাকর্মীদের নির্বাচনমূখী রাখতে উপজেলা নির্বাচনে দলের কঠোর মনোভাবে আসতে পারে নমনীয়তা। তেমন ইঙ্গিত থেকেই তৃণমূলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা শুরু করেছেন ঘর গোছানো।

বিয়ানীবাজার বিএনপি’র প্রকাশ্যে বহু ধারা বিভক্ত থাকলেও উপজেলা নির্বাচনে একটি পদে একাধিক প্রার্থী নাও দেখা যেতে পারে। দলটির বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে চেয়ারম্যান পদে উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি এড. আহমদ রেজা নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রস্তুতি নেয়া শুরু করেছেন উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ছরোয়ার হোসেন।
তবে দীর্ঘদিন থেকে আলোচনা থাকা আলীনগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপি’র সহসভাপতি মামুনুর রশিদ উপজেলা চেয়ারম্যান পদে আলোচনা থাকলেও তিনি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকছেন না বলে দলটির দায়িত্বশীলরা জানিয়েছে। এ বিষয়ে জানতে আলীনগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপি’র সহসভাপতি মামুনুর রশিদ এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে হলে তিনি কল রিসিভি করেননি।
জামায়াতে ইসলামীর দায়িত্বশীলরাও উপজেলা নির্বাচন নিয়ে তোড়জোড় শুরু করেছেন। সম্ভাব্য প্রার্থী নিয়ে জোটের শরিক বিএনপি’র সাথে আলোচনা করে প্রার্থী দেয়া কিংবা এককভাবে প্রার্থী দেয়ার বিষয়ে দোটানায় রয়েছে দলটি। বেশ কৌশলী অবস্থান থেকে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে পারে জামায়াত। এক্ষেত্রে উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলের উপজেলা আমির মাও. ফয়জুল ইসলাম এবং ভাইস চেয়ারম্যান পদে পৌরসভা জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি মোস্তফা উদ্দিন।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি এড. আহমদ রেজা বলেন, দলের সরাসরি নির্দেশনা কিংবা দলীয় সিদ্ধান্তে নমনীয়তা থাকলে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করবো। দলের নেতাকর্মীদের সাথে এ বিষয়ে আলোচনাও হয়েছে- যদি নির্বাচন উন্মুক্ত থাকে তবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবো।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয়ে একই রকম মন্তব্য করেছেন উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ছরোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচন করবো না। কিন্তু কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের উপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। দল নমনীয় হলে আমরা নির্বাচনে অংশ নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।