যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ব্যাপক উৎসব আয়াজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিয়ানীবাজার পৌরসভার বৃহত্তর ফতেহপুর গ্রামবাসীর বার্ষিক বনভোজন। গত ১০ আগস্ট ছায়া সুনিবিড় শ্যামল মনোরম পরিবেশে নিউইয়র্কের বেলমন্ট লেক স্টেট পার্কে আনন্দঘন পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয় বৃহত্তর ফতেহপুরবাসীর এ মিলন মেলা।

চমৎকার আবহাওয়ায় ভিন্ন আমেজে জমে ওঠেছিল এ বনভোজন। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বৃহত্তর ফতেহপুর গ্রামবাসী ইউএসএর সদস্য, স্বজন ও শিশু-কিশোররা দিনব্যাপী পার্কের খোলা মাঠে খেলাধুলা, বনভোজনীয় খাবার-দাবার, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপভোগ করেন।

বৃহত্তর ফতেহপুর প্রবাসীরা স্বপরিবারে অংশ নিয়ে বনভোজনকে পরিণত করেছিলেন তাদের মিলনমেলায়। পুরো দিন ভিন্ন এক উৎসবে মেতে ছিলেন।

বনভোজন আয়োজক কমিটির আহবায়ক ময়নুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ন আহবায়ক বদরুল ইসলামের সন্চালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী, যুক্তরাষ্ট্রস্থ বিয়ানীবাজার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সমিতি ইউএসএ ইনকের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আবুল কালাম মাস্টার। বিশেষ অতিথি ছিলেন আব্দুর রউফ খান তুলন, সমিতির সমাজ কল্যান সম্পাদক আক্তারুজ্জামান শাহীন, খায়রুল হাসান মিলু, এনাম আহমদ।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সদস্য সচিব ও সাবেক ছাত্রনেতা হাসান রেজা, আব্দুল কাদির, যুগ্ন সদস্য সচিব আক্তার হোসেন, যুগ্ন সদস্য সচিব সাইদুল ইসলাম, জাফর আহমদ কাওছার।

আয়োজকরা জানান, এদিন নিউইয়র্কের বৃহত্তর ফতেহপুর গ্রামের বিপুল সংখ্যক প্রবাসী দলে দলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে আঁধার বনভোজন স্থলে সমবেত হতে থাকে। দীর্ঘদিন পর তারা একে অপরকে কাছে পেয়ে মেতে ওঠে সুখ-দুঃখের আলাপনে। নিজেদের মধ্যে ভেদাভেদ ভুলে প্রবাস এবং জন্মভূমির জন্য কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। কেউ কেউ ঘুরে ঘুরে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে থাকে। বনভোজনে বিভিন্ন বয়সী ছেলে-মেয়েদের জন্য আয়োজন করা হয় নানা খেলাধূলার। মহিলাদের জন্যও ছিল বিভিন্ন আয়োজন। মুখরোচক খাবার খেয়ে সবাই তৃপ্তির ঢেকুর তুলতে থাকেন।

অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে কমিউনিটির প্রবীন মুরব্বী আবুল কালাম মাস্টারকে ‘আলোকিত ব্যক্তিত্ব’ হিসেবে বিশেষ সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।

পরে সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বনভোজনের সমাপ্তি ঘোষণা করেন আয়োজক কমিটির আহবায়ক ময়নুল ইসলাম। এ সময় তিনি ফতেহপুর গ্রামবাসীর বিভিন্ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে তিনি বলেন, বৃহত্তর ফতেহপুরবাসীর কল্যাণে নিউইয়র্কে বসবসরাত সকল ফতেহপুর গ্রামবাসী দেশে থাকা গ্রামের সার্বিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে ঐক্যবদ্ধ ও নিবেদিতভাবে কাজ করে যাবার আহবান জানান।

‌এ পর্বে রয়েছে উপজেলার মাথিউরা ইউনিয়নের দৃষ্টিনন্দন মিনারাই কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ